কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও পপ তারকা কেটি পেরির মধ্যে প্রেমের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে জুলাই মাস থেকেই। এবার সেই সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারা উপকূলে এক ইয়টে দুজনকে চুম্বনরত অবস্থায় দেখা যায়। ১২ অক্টোবর সেই ছবিগুলো প্রকাশ্যে আসতেই ভক্ত ও সংবাদমাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়।
‘পিপল’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে কেটি পেরির ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানিয়েছে, তাদের মধ্যে খুব সহজ ও স্বাভাবিক এক বন্ধন তৈরি হয়েছে। কেটি তাকে আকর্ষণীয় মনে করেন, আর ট্রুডোও তার প্রতি অত্যন্ত সম্মানজনক আচরণ করছেন।
কেটি পেরির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এমন একটি সূত্র পিপল সাময়িকীকে জানিয়েছে, জুলাই মাসে মন্ট্রিয়লে প্রথম দেখা হয়েছিল কেটি-ট্রুডোর। তখন কেটি তার ‘লাইফটাম ট্যুর’-এ ব্যস্ত ছিলেন। সেইসঙ্গে অভিনেতা অরল্যান্ডো ব্লুমের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার ধাক্কা সামলে উঠছিলেন। তাই নতুন সম্পর্কে জড়ানোর কোনো পরিকল্পনা ছিল না তার। কিন্তু ট্রুডোর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের পর থেকেই এক ধরনের সংযোগ তৈরি হয়।
সূত্র আরও জানায়, প্রথম দেখা হওয়ার পর থেকেই ট্রুডো কেটির প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন, এমনকি তার ট্যুরের বিরতিতে ক্যালিফোর্নিয়া উড়ে গিয়েও দেখা করেছেন।
জুলাইয়ে প্রথম দেখার পর থেকেই নাকি কেটির প্রতি বেশ আগ্রহী হয়ে ওঠেন ট্রুডো। এছাড়া কেটির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। এমনকি কেটির সঙ্গে দেখা করতে ক্যালিফোর্নিয়ায়ও গেছেন।
একজন ঘনিষ্ঠ সূত্রের ভাষায়, শুরু থেকেই তাদের মধ্যে রসায়ন ছিল। এখনো বোঝা যাচ্ছে না সম্পর্ক কতদূর যাবে, তবে পারস্পরিক আকর্ষণ ও বোঝাপড়া বেশ গভীর।
কেটি এখনো ওয়ার্ল্ড ট্যুরে, আর ট্রুডো প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার পর নিজের নতুন জীবন নিয়ে ভাবছেন। কিন্তু দুজনই সমাজে পরিবর্তন আনার স্বপ্ন দেখেন। এই আদর্শের জায়গাটাই তাদের ঘনিষ্ঠ করে তুলেছে।
তবে এখন পর্যন্ত কেটি পেরি বা জাস্টিন ট্রুডো-কেউই তাদের সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি। উভয়ের প্রতিনিধিরাও ‘পিপলকে’-কে মন্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। সূত্র: এনডিটিভি
অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ৩ জন
মিসরে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেলেন ট্রাম্প