জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের বিজয় নিশ্চিত করেছেন ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট সানায়ে তাকাইচি। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) পার্লামেন্টের এমপিদের ভোটে নিজের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ইয়োশিহিকো নোদা-কে ৮৮ ভোটে পরাজিত করে বিজয় নিশ্চিত করেন তিনি।
১৯৫৫ সাল থেকে জাপানের ক্ষমতায় রয়েছে এলডিপি। সুতরাং দেশটির সাধারণ জনগণের কাছে দলটির জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা প্রায় প্রশ্নাতীত পর্যায়ে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এলডিপির জনপ্রিয়তায় ভাটার টান শুরু হয়েছে।
তাকাইচি এলডিপির পরীক্ষিত নেত্রী। জাপানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে এমপি হিসেবে টানা ৩০ বছর ধরে আছেন তিনি। এর মধ্যে একবার জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও হয়েছিলেন তাকাইচি। রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন টেলিভিশন শো’-এর উপস্থাপক হিসেবে কাজ করেছেন, তার শখ হেভি মেটার মিউজিকের সঙ্গে ড্রাম বাজানো।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকাইচির সামনে একাধিক চ্যালেঞ্জ থাকবে। অর্থনৈতিক মন্দা, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, স্থবির মজুরি এবং জনগণের ভোগান্তি সামলানো এখন তার বড় চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েন মোকাবিলা এবং ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আগের সরকারের স্বাক্ষরিত শুল্ক চুক্তি বাস্তবায়নের দায়িত্বও নিতে হবে তাকে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের আগস্টে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা পদত্যাগ করার পর ওই বছরের সেপ্টেম্বরে নতুন প্রধানমন্ত্রী হন কিশিদার মন্ত্রিসভার প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিগেরু ইশিবা; কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র এক বছরের মাথায় গত ৭ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন তিনি। তার পদত্যাগের পর নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন সানায়ে তাকাচি।
সাবেক নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার মেয়াদ আরও দু’বছর ছিল। অর্থাৎ সাংবিধানিকভাবে কিশিদা ও তার নেতৃত্বাধীন সরকারের মেয়াদ শেষ হতো ২০২৬ সালের শেষ দিকে। তার আগেই পদত্যাগ করেছিলেন কিশিদা। সরকারের মেয়াদ থাকায় এবং পার্লামেন্টে এলডিপি সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় গত বছর এমপিদের ভোটের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন ইশিবা। নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচিও এ পদ্ধতিতেই প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। সূত্র : জাপান টাইমস
