ঢাকা
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

আফগান সীমান্তে পাকিস্তানের অভিযান, নিহত ৩০

আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৪৫ এএম

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় (কেপি) পাক বাহিনীর টানা অভিযানে অন্তত ৩০ জন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) জিও নিউজের খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বিশেষ অভিযানে ভারত-সমর্থিত ‘ফিতনা আল-খাওয়ারিজ’ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী।’

কেবলমাত্র কুররাম অঞ্চলেই কমপক্ষে ২৩ জন ‘ভারত-সমর্থিত ফিতনা আল-খাওয়ারিজ সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে বলে জানায় আইএসপিআর। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ১৮–১৯ নভেম্বর মোহমান্দ জেলায় পরিচালিত একটি ইন্টেলিজেন্স-ভিত্তিক অপারেশনে (আইবিও) ৪ ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়।

আইএসপিআর জানায়, এর আগে লাকি মারওয়াত জেলায় আরেকটি আইবিও-তে গোলাগুলির সময় দুই সন্ত্রাসীকে হত্যা করে নিরাপত্তা বাহিনী। এরপর ট্যাংক জেলায় আরেক অভিযানে আরও একজন ‘খাওয়ারিজ সদস্য’ নিহত হয়।

কুররম জেলায় সবচেয়ে বড় অভিযান সম্পর্কে আইএসপিআর জানায়, সেখানে ১৯ নভেম্বর সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে চালানো টার্গেটেড অপারেশনে প্রথম ধাপে ১২ সন্ত্রাসী নিহত হয়। একই এলাকায় সন্ত্রাসীদের আরেকটি গ্রুপের অবস্থান শনাক্ত করে পুনরায় আইবিও চালায় সেনাবাহিনী এবং সেখানে হত্যা করা হয় আরও ১১ সন্ত্রাসীকে।

আইএসপিআর বলেছে, এলাকায় লুকিয়ে থাকা বাকি ‘ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসীদের’ চিহ্নিত করে নির্মূল করতে স্যানিটাইজেশন অপারেশন অব্যাহত রয়েছে। এই সাফল্যের ধারাবাহিকতা এসেছে সারা দেশে সন্ত্রাসবিরোধী ‘আজম-ই-ইস্তেহকাম’ অভিযানের অংশ হিসেবে।

২০২১ সালে আফগান তালেবান ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। শুধু কেপিতেই চলতি বছরের প্রথম আট মাসে ৬০০-এর বেশি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, যেখানে ৭৯ পুলিশ সদস্য ও ১৩৮ বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। সন্ত্রাসের প্রভাব রাজধানী ইসলামাবাদেও ছড়িয়ে পড়েছে। ১১ নভেম্বরের আত্মঘাতী হামলায় সেখানে ১২ জন নিহত ও ৩৬ জন আহত হন।

ইসলামাবাদ বারবার কাবুল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আফগানিস্তানে নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনের নিরাপদ আশ্রয়স্থলের উপস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য অনুরোধ করে আসছে।

HN
আরও পড়ুন