হংকংয়ের একটি আবাসিক এলাকায় সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৩৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেলে তাই পো জেলার ওয়াং ফুক কোর্টে আবাসিক এলাকার ৭টি বহুতল ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৯ জন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ২৭৯ জন।
আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, রাতেও কমপ্লেক্সের ৩২ তলা ভবনগুলোয় আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছিল। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগুনের তীব্র উত্তাপের কারণে ভবনগুলোর ওপরের দিকে যাওয়া যাচ্ছে না। রাতের অন্ধকার নেমে আসার কারণেও আগুন নেভাতে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। গতকাল রাত পর্যন্ত আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।
মন্দিরে পূজা না দেওয়ায় ভারতে সেনা কর্মকর্তা বরখাস্তআগুন লাগার পর বুধবার রাতে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সরকারি দপ্তরগুলোকে আগুন নিয়ন্ত্রণের সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। হতাহতের ঘটনা যেন কম হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলেন তিনি।
বিবিসিকে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জন লি বলেন, ওয়াং ফুক কোর্টে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৮০০ জনেরও বেশি কর্মী কাজ করছেন। আগুন এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
স্বরাষ্ট্র বিভাগের তাই পো জেলার কর্মকর্তা ইউনিস চান হাউ-ম্যান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বুধবার আগুনে পুড়ে যাওয়া হংকং অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে বসবাসকারী ৭০০ জনেরও বেশি বাসিন্দাকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আগুন নেভাতে গিয়ে একজন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য মারা গেছেন বলে জানিয়েছে হংকং পুলিশ। অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ধারণা করা হচ্ছে, এটি প্রায় ৩ দশকের মধ্যে হংকংয়ের সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। আবাসিক এলাকাটি বেসরকারি হাউজিং কমপ্লেক্স। এখানে ৮টি বহুতল ভবন রয়েছে। হাউজিং কমপ্লেক্সে প্রায় ২ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট ছিল। আদমশুমারির তথ্যমতে, এই আবাসিক এলাকায় ৪ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি বাসিন্দা বাস করেন। এখানে অনেক শিশু, বৃদ্ধ বাসিন্দা বসবাস করেন।
এর আগে, ১৯৯৬ সালে হংকংয়ের কোউলুন এলাকায় একটি বাণিজ্যিক ভবনে আগুনে ৪১ জন নিহত হন। বুধবারের আগুন লাগার ঘটনার আগে এটিই ছিল শহরটির সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড।
