ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের হামলার পর সামরিক বিশ্লেষকরা এই যুদ্ধের বিভিন্ন দিক ও ফলাফল বিশ্লেষণ করেছেন। এতে বেশিরভাগ বিশ্লেষক যে দিকগুলোর ওপর দৃষ্টি দিয়েছেন তার মধ্যে একটি হলো ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং শক্তি। তারা বলছেন, ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলে ইরানের হামলায় আয়রন ডোমের দুর্বলতা ফুটে উঠেছে। অনেক ইরানি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা প্রাচীর অতিক্রম করেছে। সামরিক বিশ্লেষকরা তাই এই দুর্বলতার কারণ এবং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য কোনো যুদ্ধে ইসরায়েল যেসব সমস্যার মুখোমুখি হবে তা নিয়ে অনুসন্ধানী বিশ্লেষণ করেছেন।
ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট এনিয়ে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অন্যান্য মিত্র দেশের সাহায্য ছাড়া ইরানের হামলার ৭৫ শতাংশের বেশি লক্ষ্যবস্তু প্রতিহত করতে সফল হতে পারত না। সামরিক ও কৌশলগত বিষয়ের বিশেষজ্ঞ কর্নেল হাতেম করিম আল ফালাহির মতটিও এর কাছাকাছি। তিনি বলেছেন, ইরানের মোকাবেলায় ইসরায়েল একা, তাই ইরানের সঙ্গে বৃহৎ যুদ্ধের শক্তি ও ক্ষমতা তার নেই।
ফালাহির বিশ্লেষণ অনুযায়ী ইরানের হামলা ইসরায়েলি সেনাদের শক্তি ও সক্ষমতা সম্পর্কে বাস্তব সত্য ফাঁস করে দিয়েছে। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতাও দেখিয়ে দিয়েছে। আয়রন ডোমের অকার্যকরতা আগের তুলনায় অনেক বেশি ফুটিয়ে তুলেছে। ইসরায়েল তার তিন প্রধান মিত্র শক্তি-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্সের হস্তক্ষেপ ছাড়া ইসরায়েলের দিকে আসা ক্ষেপণাস্ত্রের শতকরা ২৫ ভাগও আটকাতে এবং গুলি করতে পারতো না।
লক্ষণীয় বিষয়টি হলো আমেরিকা, ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্স ১৩ এপ্রিলে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনগুলোতে প্রতিহত করতে অংশ নিয়েছিল। তারা তেল আবিবের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করার পাশাপাশি বলেছিল তারা এই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়াতে চায় না।
এ বিষয়টির প্রতি আল জাজিরার বিশ্লেষক জোর দিয়ে বলেন, যে যুদ্ধে শুধুমাত্র ইরান এবং ইসরায়েল অংশগ্রহণ করবে, সেখানে ইহুদিবাদী ইসরায়েল কোন সুবিধা করতে পারবে না।
সূত্র: আল জাজিরা।
