রোজায় গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করল ইসরাইল

ইসরাইল হুঁশিয়ার করে বলেছে, হামাস যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির নতুন প্রস্তাব মেনে না নিলে ‘আরও পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।

আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৬ পিএম

রোজার শুরুতেই ফিলিস্তিনের বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় সব ধরনের ত্রাণ ও পণ্যের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরাইল। 

ইসরাইল হুঁশিয়ার করে বলেছে, হামাস যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির নতুন প্রস্তাব মেনে না নিলে ‘আরও পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।

রোববার (২ মার্চ) ইসরাইলি মিডিয়ার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

এক বিবৃতিতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রথম ধাপের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আলোচনা চালিয়ে যেতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত উইটকফ একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। ইসরাইল ওই প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে। তবে হামাস এই প্রস্তাব মানতে রাজি হয়নি।


 
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই অবস্থায় রোববার (২ মার্চ) সকাল থেকে গাজা উপত্যকায় সব ধরনের মানবিক ত্রাণের প্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে।
 
নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, জিম্মিদের মুক্তি না দিলে ইসরাইল যুদ্ধবিরতি অনুমোদন করবে না। হামাস যদি তাদের সিদ্ধান্ত অটল থাকে পরিণতি আরও ভয়াবহ হবে।
 
এদিকে গাজায় ত্রাণ সরবাহের প্রবেশে ইসরাইলি নিষেধাজ্ঞাকে ‘সস্তা ব্ল্যাকমেইল’ বলে অভিহিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস।
 
এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, গাজায় মানবিক সহায়তা বন্ধে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্ত ‘সস্তা ব্ল্যাকমেইল’। নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন বলেও হামাস দাবি করেছে।
 
হামাস আরও জানায়, ইসরাইলের পদক্ষেপ ‘যুদ্ধাপরাধ এবং চুক্তির বিরুদ্ধে একটি স্পষ্ট ‘আক্রমণ’। গাজায় ইসরাইলের এ ধরনের অনৈতিক সিদ্ধান্ত বন্ধে ব্যবস্থা নিতে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হামাস।

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ শনিবার (১ মার্চ) মধ্যরাতে শেষ হয়। এরপরই ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ সাময়িকভাবে বাড়ানোর বিষয়টি অনুমোদনের ঘোষণা দেয়।

FJ
আরও পড়ুন