ঢাকা
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

ইরানের সরকার পরিবর্তন ঘটানোর ইচ্ছা নেই ইসরায়েলের

আপডেট : ১৬ জুন ২০২৫, ১১:৩৮ এএম

ইরানে সরকার বা শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন চায় না ইসরায়েল। এমনটাই জানিয়েছেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার। এছাড়া ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করার কোনো সিদ্ধান্ত ইসরায়েল নেয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আলজাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তিনি আরও বলেন এখন ইরানের নাগরিকরা দেশটির সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল।

জামাল আবিদ বলেন, আমি মনে করি, নেতানিয়াহুর পক্ষ থেকে এটি একটি ভুল চাল ছিল। ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতি জনগণের আস্থা এমনিতেই অনেক কমে গিয়েছিল। ২০২২ সালের ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’ আন্দোলন ছিল সাধারণ ইরানিদের পক্ষ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে একটি বড় রকমের প্রতিবাদ।

তিনি আরও বলেন, অনেক বছর ধরে নেতানিয়াহু বলে এসেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ইরানে সরকার পরিবর্তনে সাহায্য করা। পাশাপাশি ইসরায়েলও এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক প্রচার চালিয়েছে, যাতে ইরানিদের ওপর চাপ বাড়ে এবং সরকারকে দোষী হিসেবে দেখা হয়- যদিও সরকারের দোষ অবশ্যই আছে।

ন্যাশনাল ইরানিয়ান আমেরিকান কাউন্সিলের এ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, অনেক বছর ধরেই ইরানি প্রবাসীদের মধ্যে কিছু মানুষ ছিলেন যারা ভাবতেন, ইসরায়েল শুধু ইসলামিক সরকারের স্থাপনাগুলোতেই আঘাত করবে, সাধারণ ইরানিদের নয়। তাই তারা ইসরায়েলের এসব পদক্ষেপকে সমর্থন করতেন। কিন্তু এখন সেই ভাবনা অনেক বদলে গেছে।

নেতানিয়াহু এখন যেটা বলছেন, তা হলো- ‘ইরানকে বৈরুত বানিয়ে ফেলা’ অর্থাৎ যেভাবে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হামলা চালানো হয়েছিল, সেভাবে তেহরানকে ধ্বংস করে দেওয়া। এখন ইসরায়েল সরকারকে সরিয়ে দিয়ে পুরো ব্যবস্থাকে অস্থির করার পরিকল্পনা করছে। এটা দেখে অনেকেই, বিশেষ করে যারা আগে ভাবতেন ইসরায়েল তাদের বন্ধু, তারা এখন বুঝতে পারছেন যে- গাজা, লেবানন ও অন্যান্য অঞ্চলে যা হয়েছে, এবার তা ইরানেও ঘটবে। এটা কোনো মুক্তি নয়, এটা ধ্বংস ও মৃত্যু।

RK/SN
আরও পড়ুন