ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মোকাবেলায় দৈনিক প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ইসরায়েল। মার্কিন গণমাধ্যম দ্যা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং অন্য পশ্চিমা ও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বিপুল খরচের বড় অংশ ব্যয় হচ্ছে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো চালাতে, যা প্রতিনিয়ত ইরানের লাগাতার হামলা ঠেকাতে সংগ্রাম করছে।
বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, শুধু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা করতেই ইসরায়েলের প্রতিদিন প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হচ্ছে।
এদিকে, ইরানি হামলার অর্থনৈতিক প্রভাব ইতোমধ্যেই দখলকৃত ফিলিস্তিনি শহরগুলোয় দেখা যাচ্ছে। ইসরায়েলি সংবাদপত্র মারিভ বলছে, তেলআবিবে অর্ধেকের বেশি দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজার এলাকাগুলো ফাঁকা ও নিস্তব্ধ, জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা।
বিশ্লেষকদের মতে, এই আর্থিক চাপ এবং নাগরিক জীবনে বিপর্যয় ইসরায়েলি সরকারের ওপর অভ্যন্তরীণ চাপ আরও বাড়িয়ে তুলছে। পরিস্থিতি যত দীর্ঘায়িত হচ্ছে, ক্ষতির পরিমাণ তত দ্রুত বাড়ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানে একাধিক অঞ্চলে পারমাণবিক স্থাপনা ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র লক্ষ্য করে ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরায়েল।
জবাবে তেহরানও তেলআবিবসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা শুরু করে। দুই দেশের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা এখনও চলছে।
ইসরায়েলের সরকারি হিসাব মতে, ইরানের হামলায় এখন পর্যন্ত ২৫ জন নিহত হয়েছেন এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, ইরানের গণমাধ্যম অনুসারে, ইসরায়েলি হামলায় ইরানে এখন পর্যন্ত ৬৩৯ জন নিহত এবং ১৩০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলে ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ভবনের ছাদে আগুন