অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কমপক্ষে ৭১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ২৬৩ জনে।শুক্রবার (২২ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫১ জন আহত হয়েছেন। মোট আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার ৩৬৫ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া, ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকা বহু মানুষের খোঁজ মেলেনি এখনো। উদ্ধারকর্মীরা নিরাপত্তা সংকটে যথাযথভাবে কাজ করতে পারছেন না, ফলে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মানবিক সাহায্য নিতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১৩৩ জন আহত হয়েছেন। যার ফলে সাহায্য চাইতে গিয়ে নিহত ফিলিস্তিনির মোট সংখ্যা ২ হাজার ৬০ জনে দাঁড়িয়েছে এবং গত ২৭ মে থেকে ১৫ হাজার ১৯৭ জন আহত হয়েছেন।
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত এক দিনে অনাহার ও অপুষ্টিতে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এই কারণে মোট প্রাণহানি ২৭৩ জন, যাদের মধ্যে ১১২ জন শিশু রয়েছে।
আলজাজিরার এক ভিডিও প্রতিবেদনে দেখা যায়, গাজা শহরের শেখ রাদওয়ান এলাকার একটি স্কুল ভবনের ওপর ইসরায়েলি কোয়াডকপ্টার ড্রোন চক্কর দিচ্ছে। কিছুক্ষণ পর ড্রোনটি একটি বিস্ফোরক ফেলে, যাতে অন্তত ১২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। উল্লেখ্য, স্কুল ভবনটিতে বহু ফিলিস্তিনি অস্থায়ী আশ্রয় নিয়েছিলেন। একইদিন গাজা সিটির তুফাহ এলাকায় আরও একজন নিহত হওয়ার তথ্য দিয়েছে আল-আহলি হাসপাতালের চিকিৎসা সূত্র।
ইসরায়েলের এ বর্বরতার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় উঠলেও হামলা থামার কোনো লক্ষণ নেই। মানবাধিকার সংস্থাগুলো, বিভিন্ন রাষ্ট্র ও নাগরিক সমাজ গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে আসছে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫০ জন নিহত
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬২ হাজার