দোহায় ইসরায়েলের হামলা ও গাজা সংঘাতের মধ্যবর্তী উত্তেজনার মধ্যে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওসহ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। বৈঠকে মূলত কাতারে ইসরায়েলের হামলা এবং গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফও উপস্থিত থাকবেন।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) গাজায় মার্কিন প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য দোহায় এক বৈঠকের সময় হামাসের অফিস ভবন লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছেন সিনিয়র হামাস নেতা খলিল আল-হাইয়ার ছেলে হুমাম, তিনজন দেহরক্ষী ও একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা। এই ঘটনার পর পুরো অঞ্চলে উত্তেজনা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কাতারের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত জরুরি বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৫ সদস্য রাষ্ট্র কাতারের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে পরিস্থিতি প্রশমনের আহ্বান জানায়। তবে যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলের নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি।
কাতারকে মধ্যপ্রাচ্যে শক্তিশালী উপসাগরীয় মিত্র হিসেবে বিবেচনা করে ওয়াশিংটন। গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছে কাতার।
গত মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেছেন, কাতারে ইসরায়েলের একতরফা হামলা আমেরিকান বা ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষা করবে না। তিনি এই হামলায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
সূত্র: রয়টার্স
কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র থাকবে না: নেতানিয়াহু
চার্লি কার্ককে হত্যাকারীর ছবি প্রকাশ