ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

‘কৌশলগত বিটকয়েন রিজার্ভ’ গঠনের আদেশ ট্রাম্পের

‘রিজার্ভটি কেবলমাত্র ফৌজদারি এবং দেওয়ানি বাজেয়াপ্তির মামলায় জব্দ করা বিটকয়েন দিয়ে অর্থায়ন করা হবে।’

আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৫, ০৫:০৬ পিএম

‘কৌশলগত বিটকয়েন রিজার্ভ’ তৈরির নির্বাহী আদেশে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর: এএফপি’র  

শুক্রবার (৭ মার্চ) হোয়াইট হাউজে অনুষ্ঠিতব্য ক্রিপ্টো সামিটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে এই রিজার্ভের পরিকল্পনা ঘোষণা করতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে। 

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। 

হোয়াইট হাউজের ক্রিপ্টো নীতি প্রধান বিলিয়নিয়ার ডেভিড স্যাকস জানিয়েছেন, রিজার্ভটি কেবলমাত্র ফৌজদারি এবং দেওয়ানি বাজেয়াপ্তির মামলায় জব্দ করা বিটকয়েন দিয়ে অর্থায়ন করা হবে। যাতে করদাতাদের কোনো আর্থিক বোঝা বহন করতে না হয়।

এই আদেশে অন্যান্য বাজেয়াপ্ত ক্রিপ্টোকারেন্সি সংরক্ষণের জন্য ট্রেজারি বিভাগ পরিচালিত মার্কিন ডিজিটাল সম্পদ মজুদও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। রিজার্ভ, মার্কিন ডিজিটাল সম্পদ নীতিতে একটি বড় পরিবর্তন চিহ্নিত করছে। 

এর আগে চলতি সপ্তাহে ট্রাম্প কৌশলগত রিজার্ভে অন্তর্ভুক্ত পাঁচটি ডিজিটাল মুদ্রার নাম প্রকাশ করেন। এই ঘোষণার পর সংশ্লিষ্ট ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলোর বাজারমূল্য দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

এই পাঁচটি মুদ্রা হলো- বিটকয়েন, ইথেরিয়াম, এক্সআরপি, সোলানা, কারডানো

এদিকে, ট্রাম্পের ক্রিপ্টো ইন্ডাস্ট্রির প্রতি সমর্থন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। নভেম্বরের নির্বাচনে এই শিল্প ট্রাম্প ও অন্যান্য রিপাবলিকান প্রার্থীদের প্রচারে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করেছে। কিন্তু কিছু রক্ষণশীল নেতা ও ক্রিপ্টো পেশাদাররা এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের মতে, এই পদক্ষেপ একটি ধনী গোষ্ঠীকে আরও সুবিধা দেবে এবং ডিজিটাল কারেন্সি শিল্পকে আরও বেশি অনিয়ন্ত্রিত করে তুলবে।

তবে, ট্রাম্পপন্থি ক্রিপ্টো সমর্থকরা বলছেন, এই রিজার্ভ গঠনের ফলে ট্যাক্সপেয়াররা ক্রিপ্টো বাজারের মূল্য বৃদ্ধি থেকে উপকৃত হতে পারে।

অন্যদিকে, ট্রাম্পের ক্রিপ্টোকারেন্সি সংক্রান্ত পদক্ষেপে স্বার্থের সংঘাত নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ট্রাম্পের পরিবার এরই মধ্যে কিছু মিম কয়েন চালু করেছে ও ট্রাম্পের ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফাইন্যান্সিয়াল নামে একটি ক্রিপ্টো প্ল্যাটফর্মে অংশীদারত্ব রয়েছে।

তবে, হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার ব্যবসায়িক কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ থেকে সরে এসেছেন, এবং তার ব্যবসা এখন বাইরের আইনজীবীদের পর্যালোচনার অধীনে রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই রিজার্ভ বাস্তবায়ন করতে হলে যথাযথ নিয়ন্ত্রণ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। আগামী দিনে এই উদ্যোগ কীভাবে অগ্রসর হয়, তা নিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি ও বিনিয়োগকারীরা গভীর নজর রাখছেন।

FJ
আরও পড়ুন