ঢাকা
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

প্রথম ধাপে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে রাজি ইসরায়েল: ট্রাম্প

আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪৮ এএম

গাজা উপত্যকা থেকে ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার (৪ অক্টোবর) সামাজিক মাধ্যম 'ট্রুথ সোশ্যালে' এক পোস্টে তিনি এই তথ্য জানান। ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের ক্ষেত্রে এটিকে নতুন অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ট্রাম্পের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হামাস নিশ্চিত করলেই যুদ্ধবিরতি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে। তিনি জানান, আলোচনার পর ইসরাইল যে প্রাথমিক প্রত্যাহারের সীমারেখায় রাজি হয়েছে, তা হামাসের কাছেও পাঠানো হয়েছে। এই সীমারেখাটি হোয়াইট হাউস প্রকাশিত মানচিত্রের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে গেল সোমবার প্রকাশ করা হয়েছিল।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে সব চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে। তবে বিবিসি ভেরিফাইয়ের হিসাব অনুযায়ী, এই প্রাথমিক প্রত্যাহারের পরও গাজার প্রায় ৫৫ শতাংশ এলাকা ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

ট্রাম্পের দেওয়া ২০ দফা প্রস্তাবের কিছু অংশ মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি জিম্মি মুক্তি এবং বিনিময়ে ইসরাইলে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে রাজি হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আশা প্রকাশ করেছেন যে, খুব শিগগিরই গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তির ঘোষণা দিতে পারবেন। তিনি দাবি করেন, কূটনৈতিক ও সামরিক চাপের কারণে ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে নেওয়া ছাড়া হামাসের কাছে অন্য কোনো বিকল্প নেই এবং দ্রুতই গাজা থেকে হামাসের শাসনের সমাপ্তি ঘটানো হবে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, বন্দি বিনিময় এবং যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন নিয়ে মিশরে ইসরাইল ও হামাসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই আলোচনায় মার্কিন মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ এবং জারেড কুশনারও অংশ নেবেন।

তবে হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইসরাইলের হামলা ও হত্যাযজ্ঞ এখনও চলছে। স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দুই বছরের এই হত্যাযজ্ঞ ও অবরোধ অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। এর মধ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিদের্শ উপেক্ষা করে গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে আরও ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নেতানিয়াহুর বাহিনী উপত্যকাটির বেসামরিক এলাকা ও শরণার্থী শিবিরগুলোতে একদিনেই ৯৩টি বিমান হামলা চালিয়েছে।

NB/AHA