মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০ হাজার নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এক সিনিয়র স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানুয়ারি ২০ তারিখে ট্রাম্পের অভিষেকের পর থেকে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, হামলা ও চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে এসব ভিসা বাতিল করা হয়েছে। কর্মকর্তা জানান, এই পদক্ষেপ ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতি বাস্তবায়নের অংশ, যার ফলে বিপুল সংখ্যক অভিবাসী, এমনকি বৈধ ভিসাধারীরাও, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত হয়েছে।
প্রশাসন ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রেও আরও কঠোর নীতি গ্রহণ করেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাচাই ও নিরাপত্তা যাচাই প্রক্রিয়া সম্প্রসারণের মাধ্যমে।
প্রায় ১৬ হাজার ভিসা বাতিল করা হয়েছে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর সঙ্গে জড়িত থাকায়, ১২ হাজার বাতিল হয়েছে হামলায় জড়িত থাকায় এবং ৮ হাজার বাতিল হয়েছে চুরির মামলার কারণে। এই তিনটি অপরাধই এ বছরের প্রায় অর্ধেক ভিসা বাতিলের কারণ বলে জানান স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্মকর্তা।
আগস্টে স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানায় যে তারা ৬ হাজার এরও বেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে আইন ভঙ্গ ও মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় থাকার কারণে। যার মধ্যে কিছু ভিসা সন্ত্রাসবাদে সমর্থন এর অভিযোগেও বাতিল হয়েছে।
গত মাসে বিভাগটি জানায়, রক্ষণশীল কর্মী চার্লি কার্ক এর হত্যাকাণ্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করার কারণে অন্তত ছয়জনের ভিসা বাতিল করা হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও মে মাসে বলেন, তিনি শত শত, এমনকি হাজার হাজার মানুষের ভিসা বাতিল করেছেন, কারণ তারা এমন কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন যা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির পরিপন্থি।
এ বছর স্টেট ডিপার্টমেন্টের নির্দেশনায় যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের বলা হয়েছে, তারা যেন এমন আবেদনকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকেন যাদের মার্কিনবিরোধী বা রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হিসেবে বিবেচনা করা হতে পারে।
ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা আরও বলেছেন, প্যালেস্টাইনের প্রতি সমর্থন বা গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করার কারণে শিক্ষার্থী ভিসা ও গ্রিন কার্ডধারীদেরও দেশছাড়া বা ভিসা বাতিলের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তাদের মতে, এসব কর্মকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির জন্য হুমকি।
ইসরায়েলের অস্ত্রের চালান আটকে রেখেছে বেলজিয়াম
সহায়তা পেতে সম্মানজনক আচরণ করতে হবে: ট্রাম্প