রাশিয়ার দক্ষিণের কুরস্ক অঞ্চলে গত পাঁচ মাসে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে প্রায় ১৫ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে নিয়মিত ভিডিও ভাষণে তিনি এ দাবি করেছেন। খবর রয়টার্স’র।
ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, কুরস্কে অভিযান চলাকালে শত্রুপক্ষ (রাশিয়া) প্রায় ১৫ হাজার সেনা হারিয়েছে, যা অপূরণীয় ক্ষতি। তবে জেলেনস্কি কুরস্কে রাশিয়ার ক্ষয়ক্ষতির যে হিসাব দিয়েছেন, তার স্বপক্ষে যথার্থ কোনো প্রমাণ তিনি দেননি।
২০২৪ সালের আগস্টে সীমান্তবর্তী রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে স্থল অভিযান শুরু করেছিল ইউক্রেন। তারা অঞ্চলটির কিছু অংশ দখল করে নেয়। পরে সেখানে বড় ধরনের পাল্টা অভিযান শুরু করে রাশিয়া। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর দাবি, বেদখল হওয়া ভূখণ্ডের বেশির ভাগ অংশ তারা পুনরুদ্ধার করেছে।
ইউক্রেন বলেছে, তারা গত রোববার (৫ জানুয়ারি) অঞ্চলটিতে নতুন আক্রমণ শুরু করেছে। তবে এ ব্যাপারে তারা বিস্তারিত কিছু বলেনি।
তবে রাশিয়া কুরস্কে উত্তর কোরীয় সেনাদের উপস্থিতির কথা নিশ্চিত বা অস্বীকার কোনোটাই স্বীকার করেননি তিনি।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউক্রেনের অগ্রসর হওয়ার প্রচেষ্টা বানচাল করা হয়েছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে কুরস্ক শহরমুখী একটি রাস্তার কাছের বেরদিন বসতির কাছে অবস্থানরত ইউক্রেনের বাহিনীকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, পূর্ব ইউক্রেনে কুরাখোভ শহর দখলসহ গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে রুশ বাহিনী। তবে জেলেনস্কি ভিডিও বার্তায় কুরাখোভের বিষয়ে কোনো কিছু বলেননি।
ইউক্রেন ও পশ্চিমাদের হিসাবমতে, রুশ বাহিনীর পাশাপাশি প্রায় ১১ হাজার উত্তর কোরীয় সেনা কুরস্ক অঞ্চলে মস্কোর হয়ে লড়াই করছেন।
ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল ন্যাটোর নিয়ন্ত্রণে এলেই শেষ হবে যুদ্ধ: জেলেনস্কি
ট্রাম্প দায়িত্ব নিলে দ্রুত যুদ্ধের অবসান হবে: জেলেনস্কি