কলকাতায় মেসির অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা, মমতাকে গ্রেপ্তারের দাবি

আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৪৬ পিএম

বিশ্বজয়ী ফুটবলার লিওনেল মেসির তিন দিনের ভারত সফরের শুরুটাই হলো চরম বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে। কলকাতার সল্টলেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসি এবং তার সঙ্গী লুইস সুয়ারেজ ও রদ্রিগো ডি পলকে একনজরে দেখার জন্য হাজার হাজার দর্শক উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু অব্যবস্থাপনা ও ভিআইপিদের বাড়াবাড়িতে সেই আয়োজন পরিণত হয় রণক্ষেত্রে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেসি মাঠে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় ৭০-৮০ জন লোক তাকে ঘিরে ধরেন। এদের অধিকাংশই ছিলেন স্থানীয় মন্ত্রী, বিভিন্ন সংস্থার কর্তা ও ভিআইপি। তারা মোবাইল ও ক্যামেরা নিয়ে সেলফি তোলার প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠেন। নিরাপত্তারক্ষীরাও তাদের না সরিয়ে মেসিকে ঘিরে রাখেন। ফলে মোটা অঙ্কের টিকিট কেটে গ্যালারিতে বসে থাকা সাধারণ দর্শকরা তাদের প্রিয় তারকাকে দেখার সুযোগই পাচ্ছিলেন না।

প্রিয় তারকাকে চোখের সামনে পেয়েও দেখতে না পারায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন দর্শকরা। শুরু হয় মাঠের ভেতর বোতল ও ভাঙা চেয়ার ছোড়াছুড়ি। অনেকে নিরাপত্তা বেষ্টনী (ফেন্সিং) ভেঙে মাঠে ঢোকার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে পুরো স্টেডিয়ামজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এবং নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকায় নির্ধারিত সময়ের আগেই মেসি ও তার সঙ্গীদের মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন শতদ্রু দত্ত। বিশৃঙ্খলার ঘটনায় কলকাতা পুলিশ স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে এবং তাকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর শতদ্রু দত্ত দর্শকদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার লিখিত আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

মেসির অনুষ্ঠানে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিষয়টিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তবে এ নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক থামছে না। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, ‘এই ব্যর্থতার দায় রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে খোদ মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ কমিশনারের। তাদেরই বরং গ্রেপ্তার করা উচিত ছিল।’

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

DR