ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশের কূটনৈতিক কেন্দ্রে হামলা হয়েছে। লন্ডনে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত বাংলাদেশের প্রেস মিনিস্টার আকবর হোসেন সোমবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভারতের নিউজপোর্টাল কলকাতা ২৪X ৭ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আগরতলায় বাংলাদেশের ভিসা অফিসের সামনে থেকে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির আন্দোলনকারীরা আচমকা নিরাপত্তা বলয় ভেঙে বাংলাদেশের কূটনৈতিক কেন্দ্রে ঢুকে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা খুলে নিয়ে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
খবরে প্রকাশ, এর জেরে তীব্র বিতর্কে জড়িয়ে গেল ডা. মানিক সাহার নেতৃত্বে চলা ত্রিপুরার বিজেপি সরকার। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার বিরোধী দল বিজেপি ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসের সামনে বিক্ষোভে দেশটির পতাকায় আগুন ধরানো হয়।

প্রেস মিনিস্টার আকবর হোসেন ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘ভারত কি ভিয়েনা কনভেনশনের কথা ভুলে গেছে? ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী প্রতিটি দেশের ভেতরে অবস্থিত বিদেশি দূতাবাসের নিরাপত্তা দেয়া সংশ্লিষ্ট দেশের দায়িত্ব। আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনে হামলা হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এবং ভাঙচুর করেছে। এসব দুর্বৃত্তরা কাজটা করলো কিভাবে? এর জবাব কি ভারত সরকার দিতে পারবে?’
দৃশত্যই, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্যেই দেশের কূটনৈতিক কেন্দ্র ওই হামলার ঘটনা ঘটল।
এদিকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ধর্মীয় সংখ্যালঘু ইস্যুতে সোমবারই ঢাকায় বিভিন্ন মিশনে দায়িত্বরত বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করেছেন। এতে অংশ নেন ভারত-পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি।
ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশের সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানত ভারতীয় মিডিয়ায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এর বাইরেও অনেক মিডিয়া ভারতীয় মিডিয়াকে উপজীব্য করে অপতথ্য ছড়াচ্ছে। তবে আমরা বলতে চাই, সব সরকারের আমলেই বছরে দুই-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। সরকারের কাজ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা। আমরা সেটি করেছি। এরপরও দেশ ও দেশের বাইরে এ নিয়ে মিথ্যা তথ্য ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।’
