বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুর নিরাপত্তার প্রশ্নে ভারতের বিধানসভায় আবারও সোচ্চার হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিধানসভার ভাষণে মমতা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের দাবি তুলে জানান, এসব ঘটনায় তিনি উদ্বিগ্ন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন’র।
সম্প্রতি সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশে জাতীসংঘের শান্তিরক্ষী পাঠানো দাবি করে বিধানসভায় প্রস্তাব দিয়ে এরই মধ্যে একদফা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন মমতা। ঢাকার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কড়া জবাবও দেয়া হয়েছে।
সনাতনী নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ-ভারত টানাপোড়েন সম্পর্কের মধ্যে সোমবারই ঢাকা সফর করছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। এমনই প্রেক্ষাপটে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বিধায়ক সভায় আবারও এই বক্তব্য দিলেন।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ভারতের বিধানসভায় দেয়া ভাষণে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘দাঙ্গা হিন্দু করে না। দাঙ্গা মুসলমান করে না। দাঙ্গা করে কিছু সমাজবিরোধী।’ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে উঠে মমতা দাবি করে বলেন, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর যে হামলা হচ্ছে, তা দুঃখজনক।’ সব বিধায়কদের উদ্দেশে তার আহ্বান, ‘কেউ উস্কানিমূলক বক্তৃতা দেবেন না।’
বিজেপি’র নাম উল্লেখ না করেই বিধানসভায় মমতার আরো অভিযোগ করে বলেন, ‘(ভারতের) একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ফেক ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে। যারা ভাবছেন এই সুযোগে রাজনৈতিক লাভ আছে, তারা জানবেন আপনাদের ক্ষতি হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যাপারটা কেন্দ্রীয় সরকার দেখবে। আমরা কোনও পক্ষে নেই। আমরা সব পক্ষে। আজ বিদেশ সচিব (বাংলাদেশে) যাচ্ছেন। দেখা যাক কী হয়। আমাদের নীতি হল আমরা বিদেশনীতি মেনে চলব।”
এটা মমতা ব্যানার্জির ধরনের বক্তব্য, রাজনীতির জন্য সঠিক নয়
বাংলাদেশে নারীদের উপর ফতোয়া জারির ভুয়া তথ্য ভারতীয় মিডিয়ায়