আওয়ামী লীগের এক মুসলিম চেয়ারম্যানকে হত্যার একটি ভিডিও ভারতে প্রচার করে গত আগস্ট থেকে মিথ্যা দাবি করা হচ্ছে যে, বাংলাদেশে একজন হিন্দু বৃদ্ধকে হত্যা করা হয়েছে। ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থা রিউমার স্ক্যানারের তদন্তে ওই ভিডিও ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থা বলেছে, দুটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে দাবি করা হয়েছে, একজন হিন্দু বৃদ্ধকে মুসলমানরা পিটিয়ে হত্যা করেছে এবং এরপর একটি মূর্তি থেকে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
রিউমার স্ক্যানার টিমের তদন্তে আরও জানা গেছে, ভিডিওগুলোতে যে ব্যক্তিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে এবং একটি মূর্তি থেকে ঝুলতে দেখা গেছে তিনি হিন্দু বৃদ্ধ নন।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, গত আগস্ট মাসে ঝিনাইদহের পোড়াহাটি ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরন নামে এক মুসলিম ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করার পরে জেলার পায়রা চত্বরে প্রতিমার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখার দৃশ্য এগুলো।
তদন্তকালে দেখা গেছে, রুকন শেহাবি রুকন ও আরজে মুন (আর্কাইভস- ০১, ০২) নামে দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে গত ৫ আগস্ট দুটি ভিডিও (১, ২) পোস্ট করা হয়। উল্লিখিত ভিডিও এবং আলোচিত ভিডিওগুলোর মধ্যে মিল দেখা গেছে।
দুটি পোস্টেই দাবি করা হয়েছে, ভিডিওতে থাকা লাশটি ঝিনাইদহের হিরন নামে এক চেয়ারম্যানের।
বিষয়টি সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য, রিউমার স্ক্যানার টিম গুগল ম্যাপ থেকে পায়রা চত্বরের ছবি সংগ্রহ এবং ভিডিওগুলোতে দৃশ্যমান কাঠামোর সাথে তুলনা করেছে। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ভিডিওতে দৃশ্যমান কাঠামোগুলো পায়রা চত্বরের কাঠামোর অনুরূপ।
তাই রাজনৈতিক কারণে মুসলিম চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরণকে হত্যার ভিডিওটি ভারতে প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশে একজন হিন্দু বৃদ্ধকে পিটিয়ে মেরে একটি মূর্তি থেকে তার লাশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
মন্দিরের ভিডিও পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের, বাংলাদেশের নয়: রিউমার স্ক্যানার