ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

কলকাতার বিমানবন্দরে আটকা ২২০ বাংলাদেশি

সকাল গাড়িয়ে দুপুর হয়ে গেলেও তাদের পানি পর্যন্ত দেয়া হয়নি। এমনকি কখন তাদের ঢাকায় ফেরানো হবে, সে বিষয়ে নেই কোনো সঠিক উত্তর। ফলে সেখানে নারী-শিশু ও বেশ কয়েকজন মুমূর্ষু রোগীসহ প্রায় ২২০ জন যাত্রী উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন।

আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪২ পিএম

কলকাতা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২২০ জন বাংলাদেশি যাত্রী আটকে পড়েছেন।

রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা মালোন্দ এয়ারের (ফ্লাইট নম্বর ওডি-১৬২) একটি বিমান ঘনকুয়াশার কারণে কলকাতা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।

প্রায় ১৫ ঘণ্টা অতিক্রম হলেও সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বিমান পরিবহন সংস্থার পক্ষ থেকে আটকে পড়া বাংলাদেশি যাত্রীদের ঢাকা পৌঁছানোর কোনও ব্যবস্থা করেনি। 

যাত্রীদের অভিযোগ, সকাল গাড়িয়ে দুপুর হয়ে গেলেও তাদের পানি পর্যন্ত দেয়া হয়নি। এমনকি কখন তাদের ঢাকায় ফেরানো হবে, সে বিষয়ে নেই কোনো সঠিক উত্তর। ফলে সেখানে নারী-শিশু ও বেশ কয়েকজন মুমূর্ষু রোগীসহ প্রায় ২২০ জন যাত্রী উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন।

কলকাতায় আটক পড়া মালোন্দ এয়ারের একজন যাত্রী জানান, কুয়ালালামপুর বিমান বন্দর থেকেই রাত ১০টায় বিমানটি ছাড়ার কথা থাকলেও সেখানে ১ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে। বিমানটি সঠিকভাবে চললে ভোর ৩টায় ঢাকা পৌঁছানোর কথা। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে বিমানটি ২২০ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতায় অবতরণ করে। ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত যাত্রীদের বিমানে অপেক্ষা করতে হয়। পরে তাদের কলকাতা বিমান বন্দরে অপেক্ষালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, সকাল পর্যন্ত কোন যাত্রীকে এক বোতল পানি পর্যন্ত দেয়া হয়নি। তবে দুপুরে খাবার দেয়া হয়েছে। কখন ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে মালোন্দ এয়ারের কেউ কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না। ওই বিমানে গুরুত্ব অসুস্থ যাত্রী রয়েছেন প্রায় ৫ জন। যাদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন, সেটার ব্যবস্থা করা হয়নি।

অন্য একজন যাত্রী বলেছেন, আগামীকাল সকালে তার পরিবারের সঙ্গে বিদেশ বেড়াতে যাওয়ার কথা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কলকাতা থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না।

কলকাতা বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষও ২২০ জন বাংলাদেশি যাত্রী কলকাতা বিমানবন্দর থেকে কখন নিজের দেশে ফিরতে পারবেন জানাতে পারেনি। কলকাতা বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিমান পরিবহন সংস্থার দায়িত্ব।

FJ/NC
আরও পড়ুন