ভারত শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহতের পর চরম অবনতি ঘটেছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর হুমকি-ধমকিতে ক্রমেই বাড়ছে উত্তেজনা। এমতাবস্থায় জাতীয় স্বার্থে রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে কারাবন্দী ইমরান খানকে মুক্তি দেওয়ার দাবি তুলেছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
প্রতিবেদনে ডন জানিয়েছে, সোমবার (২৮ এপ্রিল) পাকিস্তানের সিনেটে সর্বদলীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে পিটিআই। অবিলম্বে একটি সর্বদলীয় সম্মেলন (মাল্টি-পার্টি কনফারেন্স) আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছে দলটি, যেখানে ইমরান খানের উপস্থিতি নিশ্চিতের দাবি তাদের।
দলটির পার্লামেন্টারি নেতা সিনেটর আলী জাফর বলেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য একপাশে রেখে এখন দেশের স্বার্থে ঐক্য জরুরি। বর্তমান পরিস্থিতিতে একমাত্র সঠিক পদক্ষেপ সর্বদলীয় বৈঠক। ইমরান খান এমন বৈঠকে অংশ নিলে পাকিস্তান ঐক্যবদ্ধ— এমন বার্তা দেওয়া যাবে বিশ্বকে। আর এতে দেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে।
নরেন্দ্র মোদির সরকারের মনোভাবকে ‘নাৎসি মানসিকতার’ সঙ্গে তুলনা করে আলী জাফর বলেন, ভারত মিথ্যা অভিযোগে পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে, অথচ পাকিস্তান নিজেই সন্ত্রাসবাদের শিকার।
ঘটনার পর থেকে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে দুদেশ। তার ওপর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর হুমকি-ধমকিতে ক্রমেই বাড়ছে উত্তেজনা। এরই মধ্যে পাঁচ দফায় কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে। একদিকে কয়েক দফায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত, অন্যদিকে পারমাণবিক হামলার হুমকি দিয়ে রেখেছেন পাকিস্তানের একাধিক শীর্ষ নেতা। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘাতে জড়াতে পারে দুই দেশ, বাজছে যুদ্ধের দামামা।
পাকিস্তানের পক্ষে ভারতের দুই কোটি শিখ