ঢাকা
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি

মার্কিন মধ্যস্থতায় স্থিতি, তবে পাকিস্তানের কড়া বার্তা

আপডেট : ১০ মে ২০২৫, ০৯:০০ পিএম

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কয়েকদিন ধরে চলা উত্তেজনা ও যুদ্ধ পরিস্থিতির পর অবশেষে স্বস্তির খবর এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় দুই দেশ পূর্ণাঙ্গ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তবে পাকিস্তান সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ভবিষ্যতে ভারতের কোনো ধরনের আগ্রাসন সহ্য করা হবে না।

এই গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক অগ্রগতি নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। শনিবার (১০ মে) সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কয়েক দিন ধরে চলা চরম উত্তেজনার পর অবশেষে পাকিস্তান ও ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে। আজ বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে যুদ্ধ বন্ধ করতে উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান সর্বদা শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে। তবে ভারতের পক্ষ থেকে যদি ভবিষ্যতে কোনো ধরনের আগ্রাসন চালানোর চেষ্টা করা হয়, তাহলে তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লিখেছেন, দীর্ঘ এক রাত দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা শেষে আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, ভারত ও পাকিস্তান তাৎক্ষণিকভাবে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। দুই দেশকেই তাদের বিচক্ষণতার জন্য শুভেচ্ছা।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওও একই বার্তা দিয়েছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ জানান, গত ৪৮ ঘণ্টায় আমি ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির এবং দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে কথা বলেছি। রুবিও দুই দেশের নেতৃত্বের কূটনৈতিক প্রজ্ঞা ও শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে নেওয়ার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এটিকে ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় হামলা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভারত অভিযোগ করে, এই হামলায় পাকিস্তানের পরোক্ষ হাত রয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে এবং বেশ কিছু প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

জবাবে পাকিস্তান সিমলা চুক্তি স্থগিত করে, ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করে এবং ভারতের সঙ্গে সব রকম বাণিজ্য স্থগিত করে দেয়। এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে যায় এবং যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি হয়।

Raj
আরও পড়ুন