ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

মিয়ানমারে বিমান হামলায় ১৭ স্কুল শিক্ষার্থী নিহত

আপডেট : ১২ মে ২০২৫, ০৯:৩৫ পিএম

মিয়ানমারে সামরিক জান্তার চালানো এক ভয়াবহ বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১৭ জন স্কুল শিক্ষার্থী। খবর: রয়টার্স

সোমবার (১২ মে) দেশটির সাগাইং অঞ্চলের দেপেইন শহরে একটি স্কুল লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে মিয়ানমারের ছায়া সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ (এনইউজি)।

এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ২০ জন। হামলার সময় স্কুল ভবনটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন এনইউজির মুখপাত্র নে ফোন লাত।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেপেইন শহরটি বর্তমানে বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং গত ২৮ মার্চ সংঘটিত ভয়াবহ ভূমিকম্পে শহরটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই শহরেই অবস্থিত এনইউজি পরিচালিত একটি স্কুলে সকাল বেলায় বিমান হামলা চালানো হয়।

স্কুলটি মান্দালয় শহর থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এবং ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রের কাছাকাছি হওয়ায় সেখানে এখনো ত্রাণ কার্যক্রম চলছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের একজন মুখপাত্র আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করে। তখন থেকে সামরিক জান্তা বিক্ষোভ দমন ও বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে আসছে। বর্তমানে তারা জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং এনইউজি-সমর্থিত প্রতিরোধ বাহিনীর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

যদিও গত মার্চের ভূমিকম্পের পর জান্তা সরকার ৩১ মে পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়, তবুও বাস্তবে বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

এনইউজি হচ্ছে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রশাসনের বরখাস্ত সদস্য এবং অন্যান্য জান্তা-বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর সমন্বয়ে গঠিত ছায়া সরকার, যারা দেশের অভ্যন্তরীণ সংকটে আন্তর্জাতিক সহানুভূতি ও সমর্থন কামনা করে আসছে।

 

 

Raj/FJ
আরও পড়ুন