‘ডাইনি বিদ্যা চর্চা’, একই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে হত্যা

আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫৩ পিএম

ভারতের বিহারে ‘ডাইনি বিদ্যা চর্চার’ অভিযোগ এনে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পরে ঐ দেহগুলোকে পুড়িয়েও দেওয়া হয়। খবর: বিবিসি বাংলা'র।

তবে তাদের কাউকে জীবিত অবস্থায় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল কিনা, সেই বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ। রোববার (৬ জুলাই) পূর্ণিয়া জেলার তেতগামা গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। 

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পূর্ণিয়া জেলার তেতগামা গ্রামে মূলত ওরাঁও আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকদের বাস। 

সদর পূর্ণিয়ার সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) পঙ্কজ কুমার শর্মা বলেন, আমরা তথ্য পেয়েছি পাঁচজনকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। তারা জীবিত অবস্থায় পুড়েছিলেন, নাকি মৃত্যুর পর আগুন দেওয়া হয়েছিল, তা তদন্তের পরেই নিশ্চিত হওয়া যাবে।

পুলিশের সূত্র মতে, নিহত পরিবারের ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর সেদিন বাড়িতে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যায়। সে আত্মীয়ের বাড়িতে ছিল।

পরে সে পুলিশকে খবর দেয় এবং চারজন প্রধান অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করে। এদের মধ্যে তিনজনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এসডিপিও পঙ্কজ কুমার শর্মা বলেন, চারজনের নাম এফআইআরে রয়েছে। তিনজনকে ধরা হয়েছে। তবে আমরা মনে করছি, পুরো গ্রামই হয়তো এ ঘটনায় জড়িত। অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি চলছে।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত থেকে জানা যায়, ‘ঝাড়ফুঁক’ কিংবা লোকজ চিকিৎসা নিয়ে বিরোধ থেকেই এ হামলা হয়েছে। নিহত বাবুলাল ওরাঁও এসব চর্চা করতেন বলে জানা গেছে। 

কয়েকদিন আগে একই গ্রামের রামদেব ওরাঁওয়ের পরিবারে একটি শিশুর মৃত্যু হয় এবং আরেকজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপরই বাবুলালের পরিবারকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।

এ ঘটনার বিষয়ে বিরোধী দল আরজেডির নেতা তেজস্বী যাদব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখেন, পূর্ণিয়ায় একই পরিবারের পাঁচজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিহারে আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। রাজধানীতে কেউ জবাবদিহির দায়িত্ব নিচ্ছে না।

পূর্ণিয়া থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রাজেশ রঞ্জন বলেন, আমরা যখন মঙ্গলে যাচ্ছি, তখন এখানকার মানুষ ডাইনি সন্দেহে গণহত্যা চালাচ্ছে - এটা লজ্জার।

বিহার কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ কুমার বলেন, বিহারে গরিব, দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কেউই খুব একটা নিরাপদ নয়। এটি স্পষ্টত জঙ্গলরাজ।

Raj/FJ