সামরিক স্থাপনায় হামলার সঙ্গে সম্পর্কিত আটটি মামলায় জামিন পেয়েছেন পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই (তেহরিক-ই-ইনসাফ) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট তার জামিন মঞ্জুর করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) ইয়াহিয়া আফ্রিদির নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এই রায় দেন। বেঞ্চের অন্য দুই মধ্যে বিচারপতি হলেন- মুহাম্মদ শফি সিদ্দিকী এবং মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব।
ইমরান খানের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার সালমান সফদার, আর রাষ্ট্রপক্ষের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন পাঞ্জাবের বিশেষ প্রসিকিউটর জুলফিকার নকভি।
উভয়েই তাদের যুক্তি শেষে প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ আট মামলায় ইমরান খানের জামিন মঞ্জুর করেন।
পিটিআই সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে এক এক্স বার্তায় এটিকে ‘ইমরান খানের জন্য বিজয়’ বলে অভিহিত করেছে।
এদিকে আট মামলায় জামিন পেলেও ইমরান খানের মুক্তির সম্ভাবনা নেই। কারণ ইমরানের বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা রয়েছে, যার মধ্যে রাষ্ট্রীয় উপহার আত্মসাত ও দুর্নীতির মামলাও রয়েছে। এসব মামলায় ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন তিনি।
২০২৩ সালের ৯ মে পিটিআই সমর্থকরা দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে পাকিস্তানজুড়ে সহিংস বিক্ষোভ, সামরিক স্থাপনা এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ভবনে হামলা ও ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় দলটির নেতাকর্মীসহ হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৩১ জুলাই, ফয়সালাবাদের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত পিটিআই-এর ১০৮ নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দিয়েছে। যার মধ্যে ৫৮ জনকে ১০ বছর ও বাকিদের এক থেকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আলোচনার মধ্যেই ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলা
মারা গেছেন ‘দয়ালু বিচারক’ ফ্রাঙ্ক ক্যাপ্রিও