ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ইসলামাবাদে বিস্ফোরণের ঘটনায় ভারত দায়ী: পাকিস্তান

আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:১০ পিএম

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে জেলা ও সেশন কোর্ট ভবনের বাইরে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত এবং ৩৬ জন আহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৩৯ মিনিটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। পাকিস্তান সরকার হামলার জন্য ‘ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসীদের’ দায়ী করেছে।

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি জানান, ‘এটি ছিল একটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। হামলাকারী আদালত ভবনের বাইরে প্রায় ১২ মিনিট অবস্থান করে প্রথমে ভবনের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়, পরে একটি পুলিশ যানবাহনকে লক্ষ্য করে নিজেকে বিস্ফোরণ ঘটায়।’

নাকভি বলেন, ‘আজকের এই বিস্ফোরণকে আমরা একটি সাধারণ ঘটনা হিসেবে দেখছি না। এটি ফেডারেল রাজধানীকে লক্ষ্য করে পরিকল্পিত হামলা, যার স্পষ্ট বার্তা রয়েছে।’

তিনি জানান, আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ নিজে হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এক বিবৃতিতে এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘ভারতীয় সমর্থনে সক্রিয় ফিতনা-আল-খারিজ এই হামলা চালিয়েছে।’

তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আফগানিস্তান থেকে সক্রিয় থাকা ভারতীয় প্ররোচনায় তৎপর খারিজেরা ওয়ানায় নির্দোষ শিশুদের ওপরও হামলা চালিয়েছে। বিশ্বের উচিত এমন কূটনৈতিক ষড়যন্ত্রের নিন্দা জানানো।’

পাকিস্তান সরকার এই দুটি হামলাকে আঞ্চলিক পর্যায়ে ভারতীয় রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের নিকৃষ্ট উদাহরণ বলে অভিহিত করেছে।

পাকিস্তানের ভাষায় ‘ফিতনা-আল-খারিজ’ বলতে বোঝানো হয় তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) বা পাকিস্তানি তালেবানকে। আর ‘ফিতনা-আল-হিন্দুস্তান’ শব্দটি ব্যবহার করা হয় বেলুচিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর ক্ষেত্রে।

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আত্তাউল্লা তারার জিও নিউজকে বলেন, ‘আফগান মাটির ব্যবহার বা সহায়তা ছাড়া এমন হামলা সম্ভব নয়। যখনই আমরা সন্ত্রাসী বা তাদের সহযোগীদের গ্রেপ্তার করি, দেখা যায় তাদের মধ্যে আফগান নাগরিকও আছেন।’

তিনি আরও দাবি করেন, এই হামলার সঙ্গে ভারতের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগাযোগ রয়েছে।

এই অভিযোগের বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে নয়াদিল্লি অতীতেও পাকিস্তানের অনুরূপ অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে।

সূত্র: ডন

DR/FJ
আরও পড়ুন