ইরানে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া: ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:১৩ এএম

এক মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া চালিয়েছে ইরান। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) তেহরানসহ দেশের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে।

আধা-সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘নূর নিউজ’ এবং ইরানের পাবলিক ব্রডকাস্টারের টেলিগ্রাম চ্যানেলে বেশ কিছু ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের দৃশ্য দেখা গেছে। খবরে বলা হয়, রাজধানী তেহরান, ইসফাহান এবং মাশহাদ শহর থেকে এই উৎক্ষেপণগুলো চালানো হয়। তবে রয়টার্স স্বতন্ত্রভাবে এই ভিডিওগুলোর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

এদিকে, দিনের শেষভাগে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ‘অবগত সূত্রের’ বরাত দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, ছড়িয়ে পড়া দৃশ্যগুলো মূলত অতি-উচ্চতায় উড়ন্ত বিমানের। তবে একই দিনে এমন পরস্পরবিরোধী তথ্যের কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি কর্তৃপক্ষ।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, ইরানের এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির সম্প্রসারণকে বড় হুমকি হিসেবে দেখছে ইসরায়েল। এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ব্রিফিং দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলের আশঙ্কা, ইরান তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুনরায় সচল করছে, যা গত জুনে যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে ফের হামলার বিষয়ে ট্রাম্পের কাছে বিকল্প প্রস্তাব পেশ করতে পারে ইসরায়েল।

পশ্চিমা শক্তিগুলোর মতে, ইরানের এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার জন্য যেমন হুমকি, তেমনি এগুলো পারমাণবিক অস্ত্র বহনেও সক্ষম। যদিও তেহরান সবসময়ই পারমাণবিক বোমা তৈরির উদ্দেশ্য অস্বীকার করে আসছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকেও ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের নৌবাহিনী পারস্য উপসাগরে বিদেশি হুমকি মোকাবেলায় ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করে দুই দিনের এক মহড়া চালিয়েছিল।

DR/SN
আরও পড়ুন