যা ইচ্ছা লিখে দেন

হাতিয়ার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অনিয়ম

আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৫২ পিএম

হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: হাতিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমির হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, ঘুষ-দুর্নীতি সহ ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। সাত বছর আগে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় যোগদানের পর থেকে তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়কে অনিয়মের আখড়ায় পরিণত করেছেন।

নিয়মিত অফিস না করা, দেরিতে অফিস এসে ইচ্ছেমত চলে যাওয়া, উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক ও কর্মচারী এমপিও করাতে উৎকোচ গ্রহণ, টাকা ছাড়া কাজ না করা, সরকারি নির্দেশনা পালন না করা, সেবা গ্রহীতাদের সাথে দুর্ব্যবহার করাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ফলে দুর্নীতিগ্রস্থ এই কর্মকর্তার আচরণে অসন্তোষ বিরাজ করছে শিক্ষকদের মনে।

image

চরকৈলাশ হাদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক নিশান চন্দ্র দাস জানান, পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমির হোসেন আমার প্রমোশন ফাইল বাতিল করে ফেরত পাঠান। এই শিক্ষক নিজের এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের হয়রানির বিষয় উল্লেখ করে বলেন, আমির হোসেন ফাইল ফরওয়ার্ড করতে অবস্থাভেদে ৫/১০ হাজার টাকা করে ঘুষ নেন। ঘুষ ছাড়া ফাইল ফরওয়ার্ড করেন না। নিয়োগ বাণিজ্য এবং মাসে ১০/১৫ দিনও অফিস না করার কথাও তুলে ধরেন এই প্রভাষক। নোয়াখালী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েও কোনো সদুত্তর পাননি বলেও জানান তিনি।

হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তোফায়েল হোসেন জানান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমির হোসেন টাকা ছাড়া কোনো কাজ করেন না। সরকারি কর্মকর্তারা বদলি হন। কিন্তু উনি এতোবছর হাতিয়ায় কী করেন, উনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন? 

এদিকে এ সপ্তাহের গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে কর্মস্থলে দেখা যায়নি। এমনকি অফিসও রয়েছে তালাবদ্ধ। এর আগে তার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, এসব বিষয়ে আমি কথা বলতে রাজি না, আপনার যা ইচ্ছা লিখে দেন।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর মো. শাহেদুল খবির চৌধুরীকে তাঁর ওয়েবসাইট নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ বা ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

SN
আরও পড়ুন