ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুতে অপরিকল্পিত খাল খনন ও পাড়ের মাটি বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে ধসে গেছে অর্ধশত পরিবারের বসতভিটাসহ স্থাপনা। হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, খাল খননে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম আর খালপাড়ের মাটি বিক্রি করে দেওয়ায় এ দুর্ভোগ পড়েছে তারা।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এবিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার মকিমপুর গ্রামের বাগমারা খালপাড়ের অর্ধশত পরিবার এখন ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। খালের দুপাশের গাছপালা ও বসতঘর ভেঙে গেছে। এছাড়া খালপাড় ঘেঁষা এলজিইডির সড়কেরও একই অবস্থা। কোনো কোনো স্থানে সড়কের অর্ধেক ভেঙে খালে চলে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে অন্যান্য বসতভিটা ও ফসলি জমি।
স্ত্রী-সন্তান, ভাই ও মাকে নিয়ে মাত্র এক শতক জমিতে মহাসড়কের পাশে খাল পাড়ে বসবাস করেন হরিনাকুন্ডু উপজেলার মকিমপুর গ্রামের কৃষক আলম মন্ডল। গত কয়েকদিন আগে ভাঙন শুরু হলে তার বসতভিটার খালগর্ভে চলে যায়। এখন তাদেরকে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।
কৃষক মশিয়ার রহমান বলেন,`যে কোন সময় আমার জমি খালে বিলিন হয়ে যেতে পাড়ে। আমি কী করবো কিছুই বুঝতে পাড়ছি না। তাই দ্রুত খালের পাড় বাঁধার দাবি জানাচ্ছি।‘

পথচারী সবুজ হোসেন বলেন, খালের ভাঙনে সড়কটি প্রায় বিলিন হয়ে গেছে। যদি এখনি খালের পাড় বাঁধা না হয় তাহলে এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে যাবে।
ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার দাস বলেন, এ বছর অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন তারা।
২০২২-২৩ অর্থবছরে এই খালটি খনন করে ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ১৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার এ খাল খননে ব্যয় হয়েছিল দুই কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
খালের মাটি দিয়ে কৃষি জমি ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ
নাঙ্গলকোটে খালের মাটি লুটে মহোৎসব