ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

হাসিনার দুর্নীতির বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে: প্রেস সচিব

‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এটা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে। শেখ হাসিনা একটা চোরতন্ত্র এখানে জারি করেছিলেন। এই চোরতন্ত্রে কারা কারা তার সঙ্গে মহাচুরিতে জড়িত ছিলেন, এটা বাংলাদেশের মানুষ জানতে চান। এটা জানানো সরকারের একটা নৈতিক দায়িত্ব।’

আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০০ পিএম

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতির বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এটা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ‘একটা চোরতন্ত্র’ জারি করেছিলেন। এইসাথে শফিকুল আলম শেখ হাসিনাকে ‘স্বৈরাচার জননী’ বলেও আখ্যায়িত করেন। 

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির অভিযোগসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে। আরও বিস্তারিত কাজ সামনে দেখা যাবে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এটা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে। শেখ হাসিনা একটা চোরতন্ত্র এখানে জারি করেছিলেন। এই চোরতন্ত্রে কারা কারা তার সঙ্গে মহাচুরিতে জড়িত ছিলেন, এটা বাংলাদেশের মানুষ জানতে চান। এটা জানানো সরকারের একটা নৈতিক দায়িত্ব। উনি কী পরিমাণ চুরি করেছেন, সেটা অবশ্যই জানানো হবে। সিরিয়াসলি সরকার এটা তদন্ত করছে।’

ব্যবসাসংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, গত ১৫ বছরে ‘স্বৈরাচার জননী’ অনেক ধরনের উন্নয়নের গল্প করেছেন। কিন্তু গত ১৫ বছরে অর্থনীতি ছিল সস্তা শ্রমের ওপর। দেশে সস্তা শ্রম বিক্রি করা হয়েছে, বিদেশে সস্তা শ্রম রপ্তানি করা হয়েছে। অথচ উন্নয়নের অনেক বড় বড় গল্প শোনা গেছে।

শেখ হাসিনাকে কবে নাগাদ ফেরত আনা সম্ভব, এ–সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, এখান থেকে আইনি প্রক্রিয়া (লিগ্যাল প্রসেস) জোরেশোরে করছে সরকার। রুলস অব ল (আইনের শাসন) যদি মানতে হয়, আইনি প্রক্রিয়াগুলোকে তার সময়টা দিতে হবে। ইচ্ছা করলেই আইনি অনেক কিছু খুব দ্রুত করা যায় না। যতটা দ্রুত সম্ভব, বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনি প্রক্রিয়ায় যতটুকু সম্ভব, সরকার সে অনুযায়ী কাজ করছে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ২১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার আট প্রকল্পে দুর্নীতির তথ্য চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠিও পাঠিয়েছে দুদক।

NC
আরও পড়ুন