ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ঢাবিতে মাঝরাতে আবারও ‘কোটা না মেধা’ স্লোগান, বিক্ষোভ

এসময় তারা ‘কোটা না মেধা, মেধা-মেধা’ ‘সারা বাংলায় খবর দে - কোটা প্রথার কবর দে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৬ এএম

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতি রাখার প্রতিবাদে আবারও ‘কোটা না মেধা, মেধা-মেধা’ স্লোগানে মাঝরাতে বিক্ষোভ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়।

প্রকাশিত ফলকে ‘বৈষম্যমূলক’ দাবি করে রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের কিছু শিক্ষার্থী। তারা ফল বাতিলের দাবিও তুলেছেন।

এসময় তারা ‘কোটা না মেধা, মেধা-মেধা’ ‘সারা বাংলায় খবর দে - কোটা প্রথার কবর দে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

সরকারি চাকরিতে কোটার বিরোধীতা করে ২০২৪ সালের জুন-জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ও এমন স্লোগান দেওয়া হত।

সেই আন্দোলন এক পর্যায়ে সরকার পতনের এক দফায় রূপ নিলে ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে টানা ১৫ বছরের শাসন শেষ হয় শেখ হাসিনার।

রোববার মেডিকেল কলেজে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়, যেখানে ৩৭টি সরকারি কলেজের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৩৭২ জন।

পরে রাতে মেডিকেলের ভর্তির ফল তৈরিতে কোটা রাখার বিরোধিতা করে বিক্ষোভে নামেন শিক্ষার্থীরা। তারা ’মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ অন্যান্য কোটা’ রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

মধ্যরাতে বিক্ষোভের পর তারা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ করেন। এতে তারা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলকে ‘বৈষম্যমূলক’ দাবি করে সেটি বাতিল করে নতুন করে আবারও ফল প্রকাশের দাবি জানান।

সমাবেশে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সেল সম্পাদক জাহিদ আহসানও বক্তব্য দেন।

এবার মেডিকেলে ভর্তির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটার পাশাপাশি পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়। এছাড়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

অপরদিকে, বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ৫ শতাংশ আসন মেধাবী ও অসচ্ছল প্রার্থীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

গত ২৬ নভেম্বর প্রকাশিত ‘মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ/ইউনিট এ এমবিবিএস/বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা-২০২৫’ এ দেখা যায়, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার পুত্র-কন্যাদের জন্য ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। পাশাপাশি পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর (উপজাতীয় ও তিন পার্বত্য জেলার অ-উপজাতীয়) কোটাভুক্তদের জন্য ১২টি এবং পার্বত্য জেলা ছাড়া অন্য জেলার জন্য আটটি আসন সংরক্ষিত থাকবে।

AHA/KK
আরও পড়ুন