নির্বাচন যদি দ্রুত না হয়, সময়ক্ষেপণ করা হয় তাহলে অন্যান্য শক্তিগুলো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার দ্রুত শেষ করে নির্বাচনের পথে যাওয়া উচিত। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। জোর করে নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষাকে বিতর্কিত করলে জনগণ আবার অধিকার বঞ্চিত হবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। শহীদ আসাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে শহীদ আসাদ পরিবার।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নানা রকম প্রত্যাশা আছে মানুষের। কিন্তু সেরকম কোনো ইঙ্গিত এই সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পূর্ণ নিরপেক্ষতা জরুরি। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ না থাকলে নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখবেন বলে আশা করি।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের সবাই নির্বাচন হওয়ার ব্যাপারে একমত। সরকারের পক্ষ থেকে সংস্কারের কথা বলছে, তাহলে কি আমরা ৪-৫ বছর অপেক্ষা করবো? তাহলে তো জনগণ ভোট থেকে বঞ্চিত হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রত্যাশার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। এখন পর্যন্ত আমরা নিশ্চিত হতে পারছি না আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হবে কি না।
তিনি বলেন, সচিবালয় থেকে শুরু করে বিভিন্নস্থানে পতিত সরকারের দোসররা বসে আছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
প্রত্যাশা ব্যক্ত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ১৫ বছর লড়াই করে যারা ফ্যাসিস্টদের পতন ঘটিয়েছেন, যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের স্বপ্ন যেন পূরণ হয়।
শহীদ আসাদ আমাদের ইতিহাসের একটি নাম উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, কেউ স্মরণ না করুক, শহীদ আসাদ ইতিহাসে আছেন, ইতিহাসে থাকবেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়নকারী জোনায়েদ সাকি, বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান, জহির উদ্দিন স্বপন, খায়রুল কবির খোকন।
নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে: ফখরুল