বিএনপি কি ভবিষ্যতের নেতৃত্ব খুঁজছে? দলটির কার্যক্রমে তাই মনে হচ্ছে। পরিস্থিতি থেকে জোরাল ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, ভবিষ্যতে বিএনপির ঝাণ্ডা উঠতে পারে দলের প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানের হাতে। রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন এই ব্যারিস্টার।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন জাইমা। বাবা তারেক রহমানের পরিবর্তে সেখানে অংশ নেবেন তিনি। তার এই অংশগ্রহণকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। যদিও বিএনপি থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
বিএনপির তিন শীর্ষ নেতা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে আমন্ত্রণ পেয়েছেন। তবে তারেক রহমান ব্যক্তিগত কারণে অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না। ফলে তার প্রতিনিধি হিসেবে যাচ্ছেন জাইমা রহমান। দলটির একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জাইমা রহমানের এই অংশগ্রহণকে অনেকেই তার আনুষ্ঠানিক রাজনীতিতে প্রবেশের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তিনি একটি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হওয়ায় রাজনীতিতে তার আসার সম্ভাবনা দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা হচ্ছে। আর উপমহাদেশে রাজনীতি মানেই পরিবারতন্ত্র।
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর পুত্র রাজিব গান্ধী, স্ত্রী সোনিয়া গান্ধী, প্রিয়াংকা গান্ধী, রাহুল গান্ধী, পাকিস্তানের ভুট্টো পরিবারের প্রয়াত বেনজির ভুট্টো, তার স্বামী, ছেলে মেয়েরা রাজনীতিতে সক্রিয়। বিশ্বে বহুদেশে দলের হাল ধরেছেন পরিবারের যোগ্য সদস্যরা।

বিএনপির নেতৃবৃন্দের অনেকে করেন, দলের ঐক্যবদ্ধতায় জাইমা রহমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। বিএনপির একাধিক নেতা মনে করেন, ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট-এ অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করবেন জাইমা, যা তার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ভূমিকার দিকেও ইঙ্গিত দিতে পারে।
প্রায় সাড়ে সাত বছর পর দাদী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সান্নিধ্যে এসেছেন জাইমা রহমান।

জানা গেছে, লন্ডনে তারেক রহমানের বাসভবনে বর্তমানে খালেদা জিয়া অবস্থান করছেন, যেখানে চাচি শর্মিলা রহমান সিঁথি ও দুই চাচাতো বোনের সঙ্গেও সময় কাটাচ্ছেন তিনি।
সম্প্রতি ফেসবুকে এক আবেগঘন স্ট্যাটাসে জাইমা লেখেন, চিকিৎসা শেষে দাদুকে বাসায় নিয়ে এসেছি। সবাই দাদুর জন্য দোয়া করবেন।
