কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ বাঁশজানি সীমান্তের শূন্যরেখায় লাগানো সিসি ক্যামেরাটি খুলে নিয়েছে বিএসএফ। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে টর্চ জ্বালিয়ে ক্যামেরাটি খুলে নেয় তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিবি-২২ কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান, মঙ্গলবারের অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বিএসএফ সিসি ক্যামেরা অপসারণের বিষয়ে আশ্বস্ত করেছিল। তারা রাত সাড়ে এগারটার দিকে ক্যামেরাটি খুলে নেয়। কথা রেখেছে বিএসএফ।
এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে সিসি ক্যামেরাটি স্থাপন করে বিএসএফ। বিজিবির প্রতিবাদ ও পতাকা বৈঠকের পর খুলে নেয়ার আশ্বাস দেয় বিএসএফ। রাতে খুলে নেয়।
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ বাঁশজানি সীমান্তে নোম্যান্সল্যান্ডে আলোচিত মসজিদটির সামনের একটি ইউক্যালিপটাস গাছে সিসি ক্যামেরাটি স্থাপন করে ভারতের ছোট গাড়ল ঝড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা।
প্রায় ২০০ বছরের পুরনো মসজিদটিতে ভারত ও বাংলাদেশের মানুষ একসঙ্গে এক জামাতে নামাজ পড়েন। মসজিদটি জীর্ণ হওয়ায় দুই বছর আগে পাকা করার উদ্যোগ নেন স্থানীয়রা। শুরু হয় নির্মাণ কাজ। কিন্তু নোম্যান্সল্যান্ডে হওয়ার নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় ভারতীয় বিএসএফ। প্রায় দুই বছর ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে করে মুসল্লিরা পড়েছেন বিপাকে।
এ অবস্থায় গোপনে কাজ করার শঙ্কায় তদারকি করতে গোপনে সিসি ক্যামেরাটি বসায় বিএসএফ। কিন্তু আলোচনা ছাড়া মসজিদের কাজ করবেন না স্থানীয়রা। বিজিবি বিষয়টি জানিয়েছে বিএসএফকেও।
এরপরও সিসি ক্যামেরা স্থাপন করায় কড়া আপত্তি তোলে বিজিবি। মঙ্গলবার এ নিয়ে ওই সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ দীর্ঘ সময় পতাকা বৈঠক করে। বৈঠকে বিএসএফের ১৬২ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট অনিল কুমার মনোজ এবং বিজিবির পক্ষে ২২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে সিসি ক্যামেরা খুলে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় বিএসএফ। এরপরে রাতে সেটি খুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
