বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ঊর্বর যুগে মোবাইল ফোন এক অপরিহার্য অধ্যায়। ফলে প্রযোজনের সঙ্গে পাল্ল দিয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্য বাড়ছে প্রতিনিয়ত। এই মোবাইল ফোন যেমন মানবজাতির নানা কল্যাণে কাজ করছে তেমনি এতে রয়েছে মারাত্মক কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
এই প্রতিবেদনে খবর সংযোগের পাঠকদের জন্য সেরকম কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো-
রাতে ঘুম না এলে যে কাজগুলো কখনোই করবেন নাঅধিকাংশ ব্যবহারকারী পুরুষ তার প্রয়োজনীয় মোবাইল ফোনটি প্যান্টের পকেটে বহন করেন আর মেয়েরা সাধারণত রাখেন ভ্যানিটি ব্যাগে। এই পকেটে ফোন রাখার ফলে তৈরি হচ্ছে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় বিপদ হল ক্ষতিকারক তরঙ্গ বিকিরণ। কারণ, মোবাইল থেকে নির্গত রেডিয়েশন শরীরের অনেক ক্ষতি করে।
এক গবেষণায় জানা গেছে, দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ থেকে ব্রেন টিউমার পর্যন্ত সব ধরনের আধুনিক রোগের জন্য দায়ী মোবাইল ফোন। এছাড়া প্যান্টের পকেটে রাখা মোবাইল ফোন পুরুষকে পুরুষত্বহীন করে তুলতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে। এটি যে কোনো ব্যক্তির জন্যই খুব ভীতিকর।
পকেটে রাখা মোবাইল ফোন রাখা কতটা বিপজ্জনক?
হেলথ সাইটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, একটি সমীক্ষায় জানা গেছে, দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ থেকে ব্রেন টিউমার পর্যন্ত সব ধরনের আধুনিক রোগের জন্য দায়ী মোবাইল ফোন।
ইউটিউবে নিয়ম বদলাচ্ছে, যেসব ভিডিও আপলোড করলেই বিপদ!অস্ট্রিয়া এবং মিশরের চিকিৎসক গবেষকরা তাদের গবেষণাটি সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান জার্নাল অব ইউরোলজিতে প্রকাশ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে যে, মোবাইলের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ 'ইরেক্টাইল ডিসফাংশন' অর্থাৎ যৌন সমস্যার কারণ হতে পারে।
গবেষকরা ৬ বছর ধরে পুরুষদের দুইটি গ্রুপের উপর গবেষণা করে এই দাবি করেছেন। এতে প্রথম গ্রুপের ২০ জন পুরুষ যৌন সমস্যায় ভুগছিলেন, অন্য দিকে দ্বিতীয় গ্রুপের ১০ জন পুরুষ বলেছেন যে তাদের কোনো যৌন সমস্যা নেই।
কী ক্ষতি হতে পারে? অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, মোবাইল ফোনের রেডিয়েশনের কারণে স্বাস্থ্যগত সমস্যা হয়। কারণ, আমরা যখন আমাদের পকেটে একটি ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত একটি ফোন রাখি, তখন শরীরকে ২ থেকে ৭ গুণ পর্যন্ত বেশি বিকিরণ সহ্য করতে হয়। এই বিকিরণ আমাদের ডিএনএ গঠন পরিবর্তন করতে পারে এবং পুরুষত্বহীনতার ঝুঁকিও বাড়ায়।
ফোনের ব্যাটারি কত শতাংশ থাকলে চার্জে বসাবেন? এই বিকিরণকে ক্যানসারের কারণ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। এছাড়া হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা দিতে পারে, তাই শার্টের পকেটেও মোবাইল ফোন রাখা মারাত্মক হতে পারে। কানাডিয়ান জার্নাল অফ কার্ডিওলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটি কলের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
তাহলে স্মার্টফোন রাখা যায় কোথায়?
মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকা যায় না কিন্তু এর অতিরিক্ত ব্যবহার এড়ানো যেতে পারে। এছাড়া, আমাদের ফোন এমন কোনো পকেটে রাখা উচিত নয় যা আমাদের সংবেদনশীল অঙ্গের কাছাকাছি থাকে।
ফোনটি পার্স বা ব্যাগে রাখলে ভালো। তা সম্ভব না হলে প্যান্টের পেছনের পকেটে মোবাইল ফোন রাখা উচিত। নিশ্চিত করতে হবে যে, মোবাইলের পেছনের অংশটি উপরের দিকে থাকে যাতে আমাদের শরীর ন্যূনতম রেডিয়েশনের সংস্পর্শে আসে।
