ঢাকা
সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

সারা দেশে চলছে চিকিৎসকদের ধর্মঘট

 

 

আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৫, ১২:৩১ পিএম

সারা দেশের সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতিতে নেমেছেন চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ের এই কর্মসূচিতে হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও অন্তবিভাগের সেবা কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হলেও রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান, ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটাল এবং শিশু হাসপাতালসহ কয়েকটিতে দেরিতে হলেও কোনো কোনো বহির্বিভাগে রোগী দেখা শুরু হয়েছে।

অপরদিকে, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে বহির্বিভাগ পুরোপুরি বন্ধ আছে। চিকিৎসকদের কর্মসূচির কথা জানা না থাকায় সেখানে সকাল থেকে রোগীদের ভিড় দেখা গেছে। অনেকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে চলে যাচ্ছেন, অনেকে আবার সেখানেই ঘোরাঘুরি করছেন। তবে আইসিইউ, সিসিইউসহ জরুরি চিকিৎসা বিভাগ চালু আছে।

ঢাকার ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে সকাল ৯টা থেকে বহির্বিভাগে রোগী দেখা শুরু করার কথা ছিল। সেখানে চিকিৎসকরা রোগী দেখতে শুরু করেছেন পৌনে ১০টা থেকে। ফলে বহির্বিভাগের সামনে রোগীদের ভিড় তৈরি হয়।

শরীফুল ইসলাম নামে একজন রোগী বলেন, সোয়া ৯টায় এসেছি। আধা ঘণ্টা অপেক্ষায় ছিলাম। পৌনে ১০টায় ডাক্তার রোগী দেখা শুরু করেছেন। বহির্বিভাগের একটি কক্ষের সামনে দায়িত্বরত একজন কর্মচারী বলেন, সকালে স্যারেরা এসেছেন কিন্তু রোগী দেখেননি। পরে সবাই পরিচালক স্যারের রুমে যান, এরপর আউটডোরে রোগী দেখা শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার ‘সর্বস্তরের চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের’ ব্যানারে দিনভর কর্মসূচি পালনের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। পাঁচ দাবিতে নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক নাদিম হোসাইন।

বুধবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মহাসমাবেশের ডাক দেওয়া হল। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সব শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হবেন। সেখান থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে লংমার্চ করবেন তারা।

চিকিৎসকরা বলছেন, ম্যাটসদের অনেকগুলো দাবির একটা তাদের নামের আগে ‘ডাক্তার’ লেখার বৈধতা দেওয়া। বিষয়টি নিয়ে আদালতে এটি রিট আবেদন করা হয়েছে। এদিন ওই রিটের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান নিটোরে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানেও বহির্বিভাগে রোগী দেখছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের একজন চিকিৎসক বলেন, আমাদের এখানে কার্যক্রম চলছে। আউটডোর খোলা। আসলে আমি আজকের কর্মসূচি সম্পর্কে জানি না।

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের বহির্বিভাগে রোগী দেখছেন চিকিৎসকরা। আবার রোগী দেখা বন্ধ আছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে বহির্বিভাগে। সেখানে রোগীদের জটলা তৈরি হয়েছে সকাল থেকেই, চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন অনেকে।

সাভারের হেমায়েতপুর থেকে পাইলসের সমস্যা নিয়ে আসা মজিবুর রহমানওবহির্বিভাগে চিকিৎসক না থাকায় ফিরে যাচ্ছেন। গতকাল আসছিলাম। বলছিল রোববার আর বুধবার বসেন ডাক্তার। আজ এসে শুনি ডাক্তাররা নাই তারা আন্দোলন করতেছেন।

মোর্শেদ আলম নামে গাইনি বিভাগের একজন কর্মচারী বলেন, ম্যাডাম সকালে কিছুক্ষণ রোগী দেখেছিলেন। পরে অন্য স্যারেরা এসে তাকে নিয়ে যান। বলেন ধর্মঘট চলছে।

SN
আরও পড়ুন