রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের হাতাহাতি, মারামারি ও বিক্ষোভের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো আজ বৃহস্পতিবারও (২৯ মে) হাসপাতালটি থেকে সেবা নিতে পারেননি কেউ। নিরাপত্তার অভাবে হাসপাতালে আসেননি চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আহতদের অব্যাহত নির্যাতন-হুমকির প্রতিবাদ ও কর্মস্থলের নিরাপত্তার দাবিতে বুধবার কর্মবিরতি পালন করেন হাসপাতালে কর্মরত সব চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দিনের শুরুতে সেবাপ্রার্থীদের সঙ্গে হাসপাতালের স্টাফদের এ বিষয়ে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়।
দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সেবাপ্রার্থীদের এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আহতরা। দিনভর হাসপাতালটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘিরে রেখেছিল। বন্ধ ছিল সব সেবা কার্যক্রম।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবারও বন্ধ আছে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতালের সব ধরনের সেবা কার্যক্রম।
রোববার থেকেই জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ওই দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চারজন বিষপান করলে তাঁদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
