হালকা নাশতা হিসেবে মুড়ি অনেকেরই পছন্দ। মুড়ির সঙ্গে চা খাওয়ার মজাই আলাদা। এ ছাড়া ঝালমুড়ি মাখা পছন্দ নয়- এমন লোক কমই আছে। শুধু রোজার ইফতারেই নয়, বছরের অন্যান্য সময়ও এই খাবার খেয়ে থাকেন বাঙালিরা। কিন্তু মুড়ি কি শুধুই মুখরোচক খাবার, নাকি পুষ্টিগুণ রয়েছে, সে সম্পর্কে অনেকেই জানেন না।
চিকিৎসকরা বলছেন, একমুঠো মুড়ির গুণ একটি ওষুধের গুণের সমান! উপকরণটির মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ সারিয়ে ফেলতে পারে বিভিন্ন রোগ!
মুড়ির উপকারিতা
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: মুড়িতে আছে ইনসলিউবল ফাইবার। যা ক্যান্সারের কোষকে ধ্বংস করে। এই ফাইবার অন্ত্র দিয়ে মলের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। তখন শরীরের কিছু ক্ষতিকর কোষকে সঙ্গে নিয়ে বের হওয়ার ফলে কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা কয়েকগুণ কমে যায়।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা সমাধান: চিকিৎসকদের মতে, মুড়ি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেক কমে যায়। নিয়মিত মুড়ি খেলে পেটে অ্যাসিডের ক্ষরণে ভারসাম্য আসে। বাড়াবাড়ি রকমের অ্যাসিড হলে, মুড়ি পানিতে ভিজিয়ে খান অনেকে। তাতে দ্রুত অ্যাসিডের সমস্যা কমে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: প্রতিদিন মুড়ি খেল নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে আপনার রক্তচাপও। এতে সোডিয়ামের মাত্রা কম। ফলে এটি খাওয়ার পরে পেট ভরলেও রক্তচাপ বাড়ে না। এ ছাড়া যাদের পেটের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে মুড়ি বিশেষ উপকারী।
হাড় মজবুত করে: মুড়িতে রয়েছে ক্যালসিয়াম আর আয়রন। এ ছাড়া মুড়ি চিবিয়ে খেতে হয়। এর ফলে দাঁত ও মাড়ির একটা ব্যায়াম হয়। তাই নিয়মিত মুড়ি খেলে হাড় ও দাঁত মজবুত হয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: মুড়িতে ক্যালোরির মাত্রা অত্যন্ত কম। অল্প ক্ষুদা পেলে মুড়ি খেলে পেট ভরে যায়। ক্যালোরির মাত্রা কম বলে মুড়ি খেলে ওজন বাড়ে না। যারা হালকা খাবার হিসেবে নিয়মিত মুড়ি খান, তাদের পক্ষে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ।
