বিগত সময়ে শাহবাগ কায়েম করে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনকে শাহবাগীরা বৈধতা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম।
বুধবার (৬ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে চলমান ছাত্রশিবিরের তিনদিনব্যাপী প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিনে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্র রাজনীতি ও ডাকসু নির্বাচন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে, প্রদর্শনীতে জামায়াত নেতাদের ছবিকে কেন্দ্র করে ৫ আগস্ট সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যেও কর্মসূচি চালু রাখে সংগঠনটি। বিতর্কিত ছবি সরিয়ে সেখানে যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উক্তি ও সেসময়কার স্কাইপ কেলেঙ্কারির ছবি স্থাপন করে শিবির।
সাদিক কায়েম বলেন, যারা আমাদের শত্রু মনে করে তারা আগের ধারার ছাত্ররাজনীতি ফিরিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে, যেটা পুরো ছাত্রসমাজকে অনেক বেশি হতাশ করছে। বিগত সময়ে বাংলাদেশে যে ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা ছিল, হাসিনাকে যারা হাসিনা বানিয়েছে, তারাই এখন বিরোধিতা করছে।
‘যারা ২০১৩ সালে শাহবাগ কায়েম করে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম মব কালচারের সূচনা করেছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, আয়নাঘর এবং শাপলা গণহত্যার বৈধতা উৎপাদন করেছে, তারাই এখন আবার মব তৈরি করছে।’
এই শিবির নেতা বলেন, তারা ভারতের আধিপত্যবাদকে বাংলাদেশের মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া এবং বাংলাদেশের মানুষের মাটি ও মানুষের সংস্কৃতিকে বিনাশ করে এখানে ব্রাহ্মণ্যবাদী সংস্কৃতিকে এস্টাবলিশ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। জুলাইয়ের শহীদদের ইমাম আবু সাঈদ এই কালচারাল ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত কথা বলে গেছেন।
সাদিক কায়েম বলেন, ২০১৩ সালেই স্বৈরাচারী হাসিনার পতন ঘটতো। কিন্তু এই শাহবাগীরা নানা বয়ান উৎপাদন করে তাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছে। যার ফলে ২০২৪-এ এসে দুই হাজার শহীদের রক্তের বিনিময়ে তাকে ক্ষমতা থেকে নামতে হয়েছে। দুই হাজার শহীদের মৃত্যুর দায় হাসিনার পাশাপাশি শাহবাগীদেরও নিতে হবে।
