ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে

ইসিতে রুমিন ফারহানার অনুসারী ও এনসিপির নেতাকর্মীদের হাতাহাতি

আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০৩:৪৪ পিএম

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ সংসদীয় আসনের শুনানি চলাকালীন সময়ে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার অনুসারী এবং এনসিপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। 

রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর একটায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ সংসদীয় আসনের শুনানি চলাকালীন সময়ে এই হাতাহাতি ঘটনা ঘটে।  

এসময় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ চেষ্টা করেও দুই গ্রুপের মারামারি থামাতে পারেনি। এতে এনসিপির তিন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রধান সমন্বয়কারী প্রোকৌশলী মোহাম্মদ আমিনুল হক চৌধুরী বলেন, ‘শুনানিতে অংশ নিতে গেলে আমাদেরকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। ব্যারিস্টার রুহিন ফারহানা ও তার নেতাকর্মীরা আমাদের মারধর করেছে। আমাদের বিজয়নগর উপজেলা থেকে তিনটি ইউনিয়ন (বুধস্তি, চান্দুয়া ও হরষপুর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে যুক্ত করা হয়েছে। আমরা আমাদের উপজেলা অখণ্ড চাই। আমাদের অপরাধ আমরা দাবি নিয়ে ইসিতে এসেছি। এজন্য  প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সামনে আমাদের পেটানো হয়েছে। এছাড়া জামায়াতসহ অন্যান্য দলকেও কথা বলতে দেওয়া হয়নি।’

হাতাহাতি বিষয়ে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, 'আমাকে প্রথমে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয়েছে। আমি একজন মহিলা। আমার সমর্থকরা তো বসে থাকবে না। ধাক্কার বদলে ধাক্কা আসবে। যে বিএনপির জন্য গত ১৫ বছর সংগ্রাম করেছি সে বিএনপির লোকজন আজ আমাকে ধাক্কা দিলো। আমরা ২০০৮ সালের মত ব্রাহ্মবাড়িয়া-২ আসন পুর্নবহাল চেয়ে ইসিতে আবেদন জানিয়ে আমাদের যৌক্তিক দাবি তুলে ধরেছি।' 

শুনানির শুরুতে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছি। আইন অনুযায়ী খসড়া সীমানা নিয়ে দাবি আপত্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আপনাদের আবেদনগুলো আমরা বিবেচনায় নিয়েছি। এখন শুনানিতে যৌক্তিক বিষয়গুলো তুলে ধরবেন।’

LH/FJ
আরও পড়ুন