গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় একদিনেই অন্তত আরও ১০৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শুধু গাজা সিটিতেই নিহত হয়েছেন ৫০ জনের বেশি। এদিন নিহতদের মধ্যে অন্তত ৩২ জন ছিলেন ত্রাণ সংগ্রহে যাওয়া সাধারণ মানুষ। এছাড়াও গাজা সিটিতে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে জানা গেছে, মঙ্গলবারের হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ আল-সাবরা মহল্লা। এই এলাকাটিতে গত কয়েকদিন টানা আক্রমণ চলেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজা সিটি দখলের ঘোষণা দিয়েছেন, যদিও তার এই ঘোষণা নিয়ে বিশ্বজুড়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে।
এদিকে মঙ্গলবার খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকায় পানির লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় ড্রোন হামলায় অন্তত ২১ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে সাত শিশু ছিল। ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল অনলাইনে শিশুদের রক্তাক্ত লাশ ও পানির পাত্রের ছবি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, পানি সংগ্রহ করতে দাঁড়ানো মানুষদের লক্ষ্য করে সরাসরি হামলা চালানো হয়েছে- এটি নতুন এক হত্যাযজ্ঞ।
গাজা সিটিতে আল-আফ পরিবারের বাড়িতে এক হামলায় ১০ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ বিষয়ে গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় জানায়, “এই অপরাধ ইসরায়েলের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের প্রমাণ”। বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রকেও দায়ী করে এসব হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনে যুদ্ধাপরাধ বলে উল্লেখ করা হয়।
অন্যদিকে সাংবাদিকদের ওপরও হামলা অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার আল-মানারার রস্মি সালেম এবং ইমান আল-জামলি নিহত হন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭০ জনের বেশি।
এদিকে আন্তর্জাতিক আদালতে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের আসামি নেতানিয়াহু মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, আমরা হামাসকে পরাজিত করার জন্য লড়ছি।
ফ্রান্সে ৫ জনকে ছুরিকাঘাত, পুলিশের গুলিতে হামলাকারী নিহত 