ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

আবু সাঈদের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের জেরা চলছে

আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:০৩ পিএম

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নিহত ছাত্র আবু সাঈদের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা. রাজিবুল ইসলামের জেরা চলছে।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার পর ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলের কার্যক্রম শুরু হয়। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারপতি নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

প্রথমেই চিকিৎসক রাজিবুল ইসলাম পুনঃজবানবন্দি দেন। এরপর রাষ্ট্রনিযুক্ত আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা শুরু করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও মঈনুল করিম।

এর আগে, রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) এনটিভির রংপুর ব্যুরোর সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট একেএম মঈনুল হকের জেরা শেষ হয়। তার পরেই চিকিৎসক রাজিবুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২৮ আগস্ট, শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেনের জবানবন্দির মধ্য দিয়ে। এ পর্যন্ত মামলার তিনজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজকের শুনানিতে ছয়জন আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তারা হলেন-

  • এএসআই আমির হোসেন
  • বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম
  • কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়
  • ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী
  • রাফিউল হাসান রাসেল
  • আনোয়ার পারভেজ।

মামলার মোট ৩০ আসামির মধ্যে ২৪ জন এখনো পলাতক। তাদের পক্ষে গত ২২ জুলাই চারজন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়। পলাতক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বেরোবির সাবেক উপাচার্য ড. হাসিবুর রশীদ। গত ২৭ আগস্ট চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম মামলার সূচনা বক্তব্য দেন। এর আগে, গত ৬ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।

৩০ জুলাই রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীরা পলাতকদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন। আইনজীবী সুজাত মিয়া পাঁচজন, মামুনুর রশীদ নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের পক্ষে, ইশরাত জাহান ও শহিদুল ইসলাম আরও কয়েকজনের পক্ষে শুনানি করেন।

এর আগে ২৯ জুলাই শরিফুল ইসলাম, সুজন চন্দ্র রায় ও ইমরান চৌধুরীর পক্ষে যথাক্রমে আইনজীবী আমিনুল গণি টিটো, আজিজুর রহমান দুলু এবং সালাহউদ্দিন রিগ্যান শুনানি করেন।

আবু সাঈদ ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। জুলাই ২০২৩ সালের ছাত্র আন্দোলন চলাকালে তিনি নিহত হন। এই হত্যা ও এর পরবর্তী মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম চলছে।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয় ২৪ জুন এবং ৩০ জুন ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয়। মোট সাক্ষীর সংখ্যা ৬২ জন।

DR/AHA
আরও পড়ুন