ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

মুরাদনগরে জমজমাট মাছ ধরার আনতা হাট

আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম
কুমিল্লার মুরাদনগরে বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি হচ্ছে মাছ ধরার ফাঁদ আনতা। এটি গ্রামাঞ্চলে মাছ ধরার খুব জনপ্রিয় একটি মাধ্যম।
 
বর্ষার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে নিম্নাঞ্চলে পানির মধ্যে এ আনতা রেখে দেওয়া হয়। খাল-বিল ও জলাশয়ের পানি নদীতে চলাচলের সময় ছোট ছোট মাছগুলো বাঁশের তৈরি আনতার ফাঁদের ভেতরে আটকা পড়ে। এ সময়ে সব জায়গায় মাছও পাওয়া যাচ্ছে।
 
উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রামচন্দ্রপুর বাজার, দক্ষিণ বাঙ্গরা বাজার ও মালাই বাঙ্গরা বাজার গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি আনতা আকার ভেদে ৩০০- ১২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
 
আনতা ব্যবসায়ী কবির হোসেন বলেন, এ মৌসুমে প্রতি হাটে ৬৯-৭০টি আনতা বিক্রি করি। দূর-দূরান্ত থেকে আমার কাছে এসে মানুষ আনতা কিনে নিয়ে যায়। বর্ষার শেষ দিকে এসে আমাদের এলাকায় আনতা বিক্রি বেড়ে গেছে।
কারণ এ সময়ে ছোট ছোট মাছগুলো পানি কমার সাথে সাথে নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করলে আনতাগুলো জমির আইলে আনতা ২ পাশে খুঁটি দিয়ে বেঁধে রেখে আনতা উওরে ও দুইপাশে কচুরিপানা দিয়ে পানিতে ১ ঘণ্টা পুঁতে রাখলে আনতায় মাছগুলো আটকে পড়ে।
 
ব্যবসায়ী মতিন মিয়া বলেন, এ মৌসুমে প্রতিদিন ২-৩ কেজি মাছ ধরতাম, তা বিক্রি করতাম ৩০০-৪০০ টাকায়। আমি প্রতি মৌসুমে পানি কমার সময় ৫-৬টি আনতা কিনে নিয়ে যাই। এগুলো দিয়ে যে মাছ পাওয়া যায়, তা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাকি মাছ রাস্তা পাশে বসে ও বাজারে বিক্রি করি।
 
দেশীয় পদ্ধতিতে এ সময় মাছ ধরার মেতে উঠে ছোট-বড় সব বয়সের মানুষ। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে ছোট মাছ ধরার ধুম পড়ে।
NJ
আরও পড়ুন