ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

আইফোন ইভেন্টের মূল আকর্ষণ ‘আইফোন এয়ার’

আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) নতুন আইফোন উন্মোচন করতে যাচ্ছে অ্যাপল। তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের ধারণা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারে প্রতিদ্বন্দ্বীরা এগিয়ে থাকায় এবারের লঞ্চ ইভেন্ট কিছুটা নীরস হতে পারে। তারপরও ইভেন্টের মূল আকর্ষণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে নতুন ‘আইফোন এয়ার’।

‘আইফোন এয়ার’ হবে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে সরু আইফোন। এর নামকরণ করা হয়েছে অ্যাপলের জনপ্রিয় ম্যাকবুক এয়ার সিরিজের অনুরূপ। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে আইফোনের ফর্ম ফ্যাক্টরে বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি। তাই সরু ও নতুন ফর্ম ফ্যাক্টরের ফোনটি আইফোন ১৪, ১৫ ও ১৬ ব্যবহারকারীদের আপগ্রেডে উৎসাহিত করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ভবিষ্যতের ভাঁজযোগ্য আইফোনের ভিত্তি তৈরি করতে পারে, যদিও সেটি বাজারে আসতে আরও এক বছর লাগবে।

আন্তর্জাতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা ইতিমধ্যেই ভাঁজযোগ্য ফোনে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে। স্যামসাং সপ্তম প্রজন্মের ফোল্ডেবল ফোন বাজারে এনেছে এবং গুগল এসেছে তৃতীয় প্রজন্মে। তবে মোট বাজারের মাত্র দুই শতাংশেরও কমই এখন ভাঁজযোগ্য ফোনের অংশ। চীনা বাজারে ভাঁজযোগ্য ফোনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় অ্যাপলের জন্য এই ফর্ম ফ্যাক্টরের আইফোন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।

অ্যাপলের মধ্যম দামের আইফোন থেকে ইতিহাসগতভাবে আয়ের প্রায় এক-চতুর্থাংশ আসে। বিশ্লেষকরা বলছেন, কোম্পানি এবার দাম সরাসরি না বাড়িয়ে বেশি স্টোরেজ ক্যাপাসিটির মাধ্যমে উচ্চমূল্য নির্ধারণের পথ বেছে নিতে পারে।

এআই ফিচারের দিক থেকেও অ্যাপল পিছিয়ে। সিরি আপগ্রেড প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে স্থগিত হয়। পরে ওপেনএআই-এর সঙ্গে অংশীদারিত্বে কিছু এআই ফিচার চালু করা হলেও গুগলের জেমিনি এআই-চালিত পিক্সেল ফোনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অ্যাপল পিছিয়ে পড়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাপল এখন গুগলের জেমিনি এআই ব্যবহার করে সিরি উন্নয়নের পরিকল্পনা করছে।

তবে নতুন অ্যাপল সিলিকন চিপ সিরিকে আরও কার্যকর এআই প্রসেসিং দিতে সক্ষম হবে। প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা আশা করছেন, এটি ভবিষ্যতে ব্যবহারকারীর জন্য স্বয়ংক্রিয় কাজ সম্পাদনে সাহায্য করবে। তবে এক বছরের মধ্যে সিরি কার্যকরভাবে উন্নত না হলে এবং ভাঁজযোগ্য আইফোন না আসলে মার্কিন বাজারে অ্যাপলের শক্ত অবস্থানও নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে।

 

NB/SN
আরও পড়ুন