উত্তর ইউরোপের মনোমুগ্ধকর দেশ নরওয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, শান্ত পরিবেশ ও আধুনিক নাগরিক সুবিধার এক অপূর্ব মিশ্রণ। সম্প্রতি বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসুদের আগ্রহ বেড়েছে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এই দেশে, বিশেষ করে ফিয়র্ড, উত্তর মেরুর আলো (Northern Lights) এবং বহুরূপী পর্বত ও হ্রদের জন্য।

নরওয়ের পর্যটন বোর্ড জানায়, ২০২৫ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১৭%, যা আগের বছরের তুলনায় রেকর্ড সংখ্যা। বিশেষ করে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ ইউরোপ থেকে আগত পর্যটকের হার উল্লেখযোগ্য।
নরওয়েতে পর্যটকদের জন্য যেসব স্থান আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে
- লোফোটেন আইল্যান্ডস (Lofoten Islands) - রঙিন গ্রাম, পাহাড় ও সমুদ্রের জাদুকরী মিলনস্থল।
- গেইরেঞ্জার ফিয়র্ড (Geirangerfjord) - ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্য।
- ট্রোমসো (Tromsø) - নর্দার্ন লাইটস দেখার শ্রেষ্ঠ স্থান।
- অসলো ও বার্গেন - আধুনিকতা ও ইতিহাসের মিশেলে গড়া শহর।

নরওয়ে সরকার ২০২৫ সালে ‘Green Norway’ উদ্যোগের আওতায় পরিবেশবান্ধব পর্যটনকে গুরুত্ব দিচ্ছে। ইলেকট্রিক বাস, নৌকা এবং পাহাড়ি এলাকায় ন্যূনতম কার্বন নিঃসরণ নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি।
বাংলাদেশ থেকে নরওয়ে ভ্রমণ করতে আগ্রহীদের সংখ্যাও বাড়ছে। একাধিক ট্যুর অপারেটর ‘নর্দার্ন লাইটস এক্সপিডিশন’ এবং ‘ফিয়র্ড ট্রেকিং প্যাকেজ’ নামে ১০-১২ দিনের আকর্ষণীয় ট্যুর চালু করেছে, যেখানে অসলো, বার্গেন, ট্রোমসো ও নর্ডক্যাপ অন্তর্ভুক্ত।
ভ্রমণের টিপস
- ভিসা: শেঞ্জেন ভিসার আওতায় পড়ে নরওয়ে, তবে আগেভাগেই আবেদন করা উচিত।
- যানবাহন: দেশের অভ্যন্তরে ট্রেন ও ফেরি ভ্রমণ অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং আরামদায়ক।
- মৌসুম: সেপ্টেম্বর-নভেম্বর হলো নর্দার্ন লাইটস দেখার শ্রেষ্ঠ সময়।

নরওয়ে এখন শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই নয়, বরং পর্যটনের ভবিষ্যৎ মডেল হিসেবেও বিশ্বজুড়ে পরিচিত হচ্ছে। যাঁরা প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে গিয়ে একটু নিজের সঙ্গে সময় কাটাতে চান নরওয়ে হতে পারে তাঁদের জন্য এক আদর্শ গন্তব্য।
