ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

আজ হার্ভেস্ট মুন দেখা যাবে যখন

আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:১২ পিএম

চলতি বছরের প্রথম হার্ভেস্ট মুন আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর)। এদিন রাতে চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে থাকবে, ফলে স্বাভাবিক পূর্ণিমার তুলনায় চাঁদকে অনেক বড় ও উজ্জ্বল দেখা যাবে।

বুধবার (১ অক্টোবর) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, এই বিরল প্রাকৃতিক দৃশ্যকে বলা হয় সুপারমুন বা ‘হার্ভেস্ট মুন’। এটি প্রতিবছর শরৎ ঋতুর শুরুতে দৃশ্যমান হয়।

জ্যোতির্বিদরা জানিয়েছেন, চলতি বছর তিনটি সুপারমুন উপভোগ করার সুযোগ মিলবে, এর মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে অক্টোবরের হার্ভেস্ট মুন।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাধারণত পূর্ণিমার চাঁদ রাতভর ওঠে না, তবে হার্ভেস্ট মুনের সময় চাঁদ স্বাভাবিকের তুলনায় দ্রুত ওঠে এবং একাধিক রাত ধরে আকাশে দৃশ্যমান থাকে। বিশেষ করে সন্ধ্যার সময়ে এটি আরও উজ্জ্বল দেখায়।

হার্ভেস্ট মুন কি

হার্ভেস্ট মুন হলো শরৎকালের শুরুতে উদিত বিশেষ একটি পূর্ণিমার চাঁদ। এই সময় চাঁদ স্বাভাবিক পূর্ণিমার চেয়ে ভিন্নভাবে উদিত হয়। সাধারণ পূর্ণিমার চাঁদ রাতভর ওঠে না কিন্তু হার্ভেস্ট মুন তুলনামূলকভাবে দ্রুত ওঠে এবং কয়েক রাত ধরে আকাশে থাকে।

সন্ধ্যার পরপরই আকাশে উঠতে শুরু করায় এটি আরো উজ্জ্বল মনে হয়। বিশেষ করে দিগন্তের কাছাকাছি অবস্থায় চাঁদকে আরো বড় এবং সোনালি-কমলা রঙের দেখা যায়।

কেন বলা হয় হার্ভেস্ট মুন

জ্যোতির্বিদরা বলেন, শরৎকালে কৃষিকাজের সময় চাঁদের আলোকেই অনেক জায়গায় রাতে ফসল কাটার কাজ চালানো হতো। সেই কারণে শরতের এই পূর্ণিমাকে বলা হয় ‘হার্ভেস্ট মুন’। এটি বছরে সবচেয়ে উজ্জ্বল ও দৃষ্টিনন্দন পূর্ণিমাগুলোর একটি।

যে দেশ থেকে দেখা যাবে

পাকিস্তান স্পেস অ্যান্ড আপার অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশন (SUPARCO) জানিয়েছে, পাকিস্তান ছাড়াও বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশ থেকেই সুপারমুন দেখা যাবে। আবহাওয়া পরিষ্কার থাকলে বাংলাদেশ থেকে এটি খালি চোখে উপভোগ করা যাবে।

কতটা বড় ও উজ্জ্বল হবে 

সুপারকো কর্মকর্তাদের মতে, আজকের সুপারমুন গড় পূর্ণিমার চাঁদের চেয়ে ১৪ শতাংশ বড় এবং ৩০ শতাংশ উজ্জ্বল হবে। এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ২,২৪,৫৯৯ মাইল (৩৬১,৪০০ কিলোমিটার) দূরে থাকবে।

সুপারমুন উপভোগ করার জন্য কোনো বিশেষ যন্ত্রপাতির প্রয়োজন নেই। খোলা আকাশে দিগন্ত বরাবর তাকালেই সহজে দেখা যাবে। তবে আলোদূষণ কম এমন জায়গায় গেলে চাঁদের সৌন্দর্য আরো স্পষ্টভাবে চোখে পড়বে।কোলাহলমুক্ত পরিবেশে এই সুপারমুনের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য সবচেয়ে ভালোভাবে উপভোগ করা সম্ভব হবে।

LH/FJ
আরও পড়ুন