পাকিস্তানের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) শুক্রবার (১০ অক্টোবর) একাধিক প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় ১১ প্যারামিলিটারিসহ মোট ২৩ জন নিহত হয়েছেন বলে পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বিষয়টি নিয়ে শনিবার (১১ অক্টোবর) টিটিপি সামাজিকমাধ্যমে একটি বিবৃতি দিয়ে হামলার দায় স্বীকার করেছে।
প্রদেশটির আফগান সীমান্তবর্তী খাইবার বিভাগে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলাটি হয় একটি পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে। সেখানে টিটিপির এক আত্মঘাতী হামলাকারী বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে স্কুলের মূল ফটক ভেঙে ভেতরে ঢোকে এবং বিস্ফোরণ ঘটায়। বিস্ফোরণের পরপরই শুরু হয় তীব্র গোলাগুলি। এই হামলায় ১১ জন প্যারামিলিটারি সদস্য ও ৭ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
খাইবার বিভাগের পাশাপাশি বাজাউর জেলাতেও একটি পৃথক হামলা চালায় টিটিপি। এখানে তিন বেসামরিক নাগরিকসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, এই হামলাটি ছিল টার্গেট কিলিং ও বিস্ফোরণের সমন্বয়ে গঠিত।
এ হামলার একদিন আগেই গত বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে পাকিস্তান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিমান হামলা চালায়। লক্ষ্য ছিল টিটিপির শীর্ষ নেতা।
পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে, আফগান তালেবান সরকার টিটিপিকে আশ্রয় ও সহায়তা দিচ্ছে। যদিও তালেবান সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই টিটিপির তৎপরতা ভয়াবহভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে আফগান-পাকিস্তান সীমান্ত অঞ্চলজুড়ে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, শুধুমাত্র গত এক সপ্তাহেই টিটিপির হামলায় পাকিস্তানের অন্তত ৩২ সেনা ও ৩ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। বিপর্যস্ত নিরাপত্তা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সীমান্তবর্তী এলাকায় নতুন করে সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
সূত্র: এএফপি
সুদানে আশ্রয়কেন্দ্রে ড্রোন হামলা, নিহত ৩০
যুদ্ধবিরতি কার্যকর: ধ্বংসস্তূপে ফিরছে গাজার মানুষ