ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ব্যাট হাতে ঝড় তুলেও শিরোপা জেতা হলো না সাকিবদের

আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৫৪ পিএম

কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে ট্রফি জয়ের স্বপ্ন নিয়ে মন্ট্রিয়েল রয়্যাল টাইগার্সের যাত্রা। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের চোখে ছিল জয়ের জেদ, হাতে ছিল সেমিফাইনালের সাফল্যের আত্মবিশ্বাস। কিন্তু ফাইনালের বাস্তবতা ছিল একেবারে উল্টো। ব্যাট হাতে ঝড় তুলেও শেষ পর্যন্ত বোলিংয়ে নামার সুযোগই পাননি সাকিব। তার আগেই শেষ হয়ে গেছে খেলা, ভেঙে গেছে শিরোপার স্বপ্ন।

ব্র্যাম্পটন ব্লিটজের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপাকে পড়ে মন্ট্রিয়েল। একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাকিব, কিন্তু অন্যপ্রান্তে তার সতীর্থদের ছিল যাওয়া–আসার মিছিল। ওপেনার দিলপ্রিত বাজওয়া কিছুটা লড়াই করে ৮ বলে ১৮ রান করলেও অন্যরা একে একে ফিরেছেন ডাগআউটে। ১২ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ২৯ রানের দারুণ ক্যামিও খেলেন সাকিব, কিন্তু তার ব্যাটে গড়া সেই রানও দলের হারের গল্পে বদল আনতে পারেনি। ৬৯ রানে থেমে যায় মন্ট্রিয়েলের ইনিংস।

ব্র্যাম্পটনের হয়ে বল হাতে ভয়ঙ্কর ছিলেন ডিলন হেইলিগার, নেন ৪ উইকেট। তাঁর সঙ্গে ডেভিড ভিসা ও ক্রিস গ্রিভস শিকার করেন ৩টি করে উইকেট। বোলারদের এই দাপটে সহজ লক্ষ্য পেয়ে যায় ব্লিটজ।

জবাবে ব্র্যাম্পটনের শুরুটা ছিল সাবধানী, কিন্তু আত্মবিশ্বাসী। ওপেনার উইল স্মিদ ৭ রানে ফিরলেও মার্টিন গাপটিল ও জেমস ভিন্সের জুটি ম্যাচটাকে করে দেয় একপেশে। মাত্র ৫.৫ ওভারে জয় তুলে নেয় ব্লিটজ। গাপটিল অপরাজিত থাকেন ১৩ বলে ২৩ রানে, আর ভিন্স খেলেন ১৬ বলে ৩৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস। মন্ট্রিয়েলের হয়ে ২ উইকেট নেন ব্রাড কুরি।

৫.৫ ওভারেই খেলা শেষ হয়ে যাওয়ায় সাকিবের হাতে আর বল তোলার সুযোগই আসেনি। মাঠে কেবল হতাশ দৃষ্টিতে দেখেছেন প্রতিপক্ষের জয় উদযাপন।

তবে এর আগের সেমিফাইনাল ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। টুর্নামেন্টের সেরা লড়াইগুলোর একটিতে ভ্যাঙ্কুভার নাইটসের বিপক্ষে ব্যাটে না জ্বলেও বল হাতে আগুন ঝরিয়েছিলেন সাকিব। ২ ওভারে খরচ করেছিলেন মাত্র ৫ রান, তুলে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। তার নিখুঁত বোলিংয়েই মন্ট্রিয়েল জয় পায় ২৪ রানে এবং জায়গা করে নেয় ফাইনালে।

সেই ম্যাচে সাকিব ছিলেন আক্রমণাত্মক ও লড়াকু। আউট হওয়ার পর স্টাম্পে ব্যাট ছুঁইয়ে রাগ প্রকাশ করেছিলেন, কিন্তু বোলিং হাতে ফিরেছিলেন একেবারে ভিন্ন রূপে-শান্ত, নিখুঁত, কার্যকর। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সেই সুযোগটিও পাননি।

শেষ পর্যন্ত সেমিফাইনালের নায়ক সাকিবকে ফাইনালে হতে হয়েছে দর্শক। তার ১২ বলে ২৯ রানের ছোট ইনিংসটাই হয়ে থাকল দলের একমাত্র আলো। 

আরও পড়ুন