বাড়ি ভাড়া ও উৎসব ভাতা বাড়ানোসহ তিন দফার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে ‘মার্চ টু যমুনা’ স্থগিত ঘোষণা করেছেন শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী। কাল দুপুর ২টা থেকে অনশন কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) আমরা অনশন করবো। তারপর আমরণ অনশন। তারপরও যদি আমাদের দাবি না মানে তাহলে আমাদের দেহ জীবিত যাবে না। লাশ যাবে। অধিকারের বিষয়ে আপোষ করবো না। আগামী রোববার (১৯ অক্টোবর) থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব শ্রেণির কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি।’
আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, সরকারের প্রস্তাবিত বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির হার ‘অপর্যাপ্ত ও অবাস্তব’। তারা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে ভাতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সর্বজনীন বদলি নীতি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে বুধবার (১৫ অক্টোবর) অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হলেও ২০ শতাংশ ছাড়া আন্দোলন থামবে না বলে জানিয়েছেন জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী। রাজপথে আন্দোলনের পাশাপাশি সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল থেকে সারাদেশের সব বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। ফলে স্কুল–কলেজগুলোতে ক্লাস কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ শিক্ষকদের সরাতে গেলে ধস্তাধস্তি, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ এবং লাঠিচাজের ঘটনা ঘটে। পুলিশের হামলায় আহত হন বেশ কয়েকজন। এতে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে জোটের নেতাদের আহ্বানে শিক্ষকরা শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবং সেখান থেকেই লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন। সোমবার (১৩ অক্টোবর) ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি চলাকালে হাইকোর্টের সামনে শিক্ষক-কর্মচারীদের পদযাত্রা আটকে দেয় পুলিশ। এরপর আন্দোলনকারীরা শহীদ মিনারে ফিরে আসেন। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দিনভর আন্দোলন ও বুধবার বিকেলে শাহবাগ মোড়ে ‘শাহবাগ ব্লকেড’ চললেও সরকার দাবি পূরণে সাড়া দেয়নি।
গত পাঁচদিন ধরে দিন-রাত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন শিক্ষকরা। সারাদেশের শিক্ষকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাজির হলেও কোনো শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করছেন না। ক্যাম্পাস, শিক্ষক লাউঞ্জ কিংবা অফিসকক্ষে বসেই অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে লংমার্চ বিকেল ৫টায়
এবারের ফল সবাইকে বিস্মিত করেছে: শিক্ষা উপদেষ্টা