এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় বগুড়ার কাহালু ও ধুনট উপজেলার দুটি কলেজে কেউ পাস করেনি।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) এইচএসসি-আলিম ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর বিষয়টি জানা যায়। এদিন সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আ. ন. ম. মোফাখখারুল ইসলাম পরীক্ষার ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শতভাগ অকৃতকার্য হওয়া প্রতিষ্ঠান দুটি হলো বগুড়ার কাহালু উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের আল্লামের তাকিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এবং ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী মহিলা কলেজ। এছাড়া শিবগঞ্জ উপজেলার গুজিয়া বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষা দেওয়া ১০ জনই অকৃতকার্য হয়েছে। কলেজটির একজন মাত্র বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থী পাস করেছে।
শিক্ষা বোর্ডের চলতি বছরের এইচএসসি-আলিম ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আল্লামের তাকিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ২০২৫ সালে মানবিক বিভাগ থেকে ৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষায় ৭ জনেই অকৃতকার্য হয়। একইভাবে গোসাইবাড়ী মহিলা কলেজে মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষা দেয় ৫ জন। এই ৫ জনই অকৃতকার্য হয়েছে।
এ বছর রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৩৪ জন। এই শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ১৩৭ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্রদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৪৫৫ জন ও ছাত্রীদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৬৮২ জন।
আর বগুড়া জেলায় ৩ টি কেন্দ্রে ১২০টি প্রতিষ্ঠানের ২৬ হাজার ৯৬ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা দিয়েছে। এর মধ্যে ছাত্র ১৩ হাজার ৫৩১ এবং ছাত্রী ১২ হাজার ৫৬৫।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী আকন্দ জানান, এখনকার শিক্ষার্থীরা ক্লাসমুখী না। তারা পাঠ্যবই পড়তে চায় না। এবার ঢেলে নাম্বারও দেওয়া হয়নি, ফলে পরীক্ষার ফলাফলে এই ধ্বস। পাশাপাশি কলেজের শিক্ষকরাও দায়ী। তারা বেতন পাচ্ছেন, কিন্তু শিক্ষার্থীদের ক্লাসমুখী করতে পারেন না। তাদের পাঠদানেও অনেক গাফলতি আছে। শিক্ষকদের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলব।
কাপাসিয়ার চরদূর্লভখাঁ কলেজে কেউ পাস করেনি