ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

রাবি অধ্যাপকের বিতর্কিত পোস্ট, বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০২:০৬ পিএম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (রাকসু) নির্বাচিত নারী প্রতিনিধিদের শপথ অনুষ্ঠানের হিজাব পড়া ছবি নিয়ে এক শিক্ষকের পোস্ট ঘিরে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। পর্দার অবমাননা অ্যাখ্যা দিয়ে অবিলম্বে ওই শিক্ষকে বহিষ্কারের দাবি জানান তারা।
 
সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টায় এ বিক্ষোভ হয়। 
 
হিজাব নিয়ে মন্তব্য করা শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক। 
 
হল সংসদে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ অনুষ্ঠানে বোরখা পড়া ছবি নিয়ে তিনি পোস্ট করেন। কিছুক্ষণ পর ডিলিটও করেন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই পোস্টের স্ক্রিনশট বিভিন্ন গ্রুপে ছড়িয়ে পড়লে বিতর্ক শুরু হয়। রাতেই পর্দা অবমাননার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। 
ডিলিট করা পোস্টের স্ক্রিনশটে লেখা ছিল, এই ব্যক্তিগত স্বাধীনতা আমি এন্ডর্স করছি। কাল আমি এরকম ব্যক্তিগত স্বাধীনতা পরে ও হাতে নিয়ে ক্লাসে যাবো। পরবো টু-কোয়াটার, আর হাতে থাকবে মদের বোতল। মদ তো ড্রাগ না! মদ পান করার লাইসেন্সও আমার আছে! শিবির আইসেন, সাংবাদিকরাও আইসেন!
 
পোস্টে রাকসু হল সংসদের নির্বাচিত নারী প্রতিনিধিদের দুটি ছবি যুক্ত করেন তিনি।
 
এদিকে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে রাকসুর মহিলা সম্পাদক সায়েদা হাফসা বলেন, হিজাব পড়েও নারীরা যখন অপ্রতিরোধ্য, তখন একটা পক্ষ তাদের বাধা দিয়ে, কটুক্তি করে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত নারী প্রতিনিধিদের ছবি যুক্ত করে বলেছেন টু কোয়াটার ও মদের বোতল নিয়ে ক্লাসে আসতে চান। টু কোয়াটার আর মদের বোতল কী সমাজ মূল্যায়ন করে? একইভাবে বোরখাকে নিয়ে কি সামাজিকভাবে অবমূল্যায়ন করা হয়? তিনি যা করতে চেয়েছেন, এখন তা করে দেখাক। এমন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জন্য তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং তাকে বহিষ্কার করতে হবে। 
 
 
রাকসুর জিএস সালাউদ্দিন আম্মার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, যদি তার মেরুদণ্ড সোজা থাকেন অবশ্যই তিনি বিভাগে মদের বোতল ও হাফ পেন্ট পড়ে আসবেন, আদারওয়াইজ (অন্যথায়) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে শোকস করবে। আমরা কাল বিভাগের সামনে অবস্থান নেব। তিনি তিন সেকেন্ড ধরে পোস্ট রেখেছিল না, ৩ মিনিট রেখেছিল তা আমাদের বোঝার বিষয় নয়। এখানে (ছবিতে) কোন রাজনৈতিক দলের বোনেরা ছিল না, এখানে শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত বোনেরা ছিল। তাই শিক্ষার্থীদের অস্তিত্বে আঘাত লেগেছে, হিজাবের অস্তিত্বে আঘাত লেগেছে, মুসলমানের অস্তিত্বে আঘাত লেগেছে।
NJ
আরও পড়ুন